March 28, 2025, 8:47 am
অজানা আতংকে ভুগছে কলারোয়া পৌরসদরসহ ১২টি ইউনিয়নের সরকার দলীয় আওয়ামীলীগের তৃনমুল নেতা-কর্মি, সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ। এরইমধ্যে অনেক নেতা-কর্মিরা নিজ এলাকা ছেড়ে অবস্থান নিয়েছেন। আগামী ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান উপজেলা আ.লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা।খোজ নিয়ে জানা গেছে, ২৯ নভেম্বর শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বর্তমান উপজেলা সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু সমর্থিত দুই গ্রুপের নেতা-কর্মি ও সমর্থকরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এমনকি সম্মেলনের আগে বা সম্মেলনের দিনই বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করেছেন উপজেলার অনেকে। তবে, উভয় বিভক্ত গ্রুপই নিয়মিত মিটিং, সমাবেশ ও ঘরোয়া (গোপন) মিটিং করে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে জেলা আ.লীগের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার যুগিখালী, কেরালকাতা, চন্দনপুর ও সোনাবাড়ীয়সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের তৃনমূল নেতা-কর্মিরা জানান, কলারোয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে অবহিত করা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। বর্তমান সভাপতি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীক পেয়েও তিনি ব্যাপক ব্যবধানে পরাজিত হন। তৃনমুলের এসব নেতাদের দাবি, ২৯ তারিখের সম্মেরনের উপজেলা কমিটিতে নতুন নেতাদের পদ দেওয়া হোক। তবে তারা সম্মেলনের দিন উপজেলায় অবস্থান করতে পারবেন না এমন আশংকার বিষয়টি জেলা আ.লীগ ও দলীয় শীর্ষ নেতাদের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
একইসাথে তৃনমুল নেতাদের বাড়ীতে যেয়ে বর্তমান সভাপতির পক্ষে কাজ করা এবং তাকে পুনরায় সভাপতি নির্বাচন করার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। অনেকে পৌরসদরে আতœীয়ের বাড়ীতে রাত্রিযাপন করছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব তৃনমুল নেতারা জানান, বিএনপি-জামায়াত আমাদের উপর নির্যাতন করেছে, এখন দল ক্ষমতায় থেকেও আমরা বাড়ীতে থাকতে পারছি না, রাতে বাড়ীতে ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে তাহলে আমাদের রাজনীতি করবো কি করতে ?এদিকে তৃনমূল নেতা-কর্মিদের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত বিষয়টি নিশ্চিত করে হেলাতলা ইউনিয়নের আ.লীগের এক শীর্ষ নেতা জানান, আতœীয়করন, দলীয় প্রধান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলা মামলার স্বাক্ষী না দেরওয়ার কারনে বর্তমান সভাপতি কে তৃনমূল নেতা-কর্মিরা এবার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন।অপরদিকে, দলীয় সম্মেরনে সভাপতির ভাড়াটের সন্ত্রাসীদের রুখতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা-কর্মি ও সমর্থকরা পৌর সদরে দফায় দফায় মিটিং করছেন। এসব মিটিংএ যে কোন অন্যায় রুখতে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মিরা সর্বাতœক প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন বলে জানাগেছে। পৌর আ.লীগ নেতা (সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ) রাসেলসহ কয়েকজন জানান, আমাদের সাথে সাবেক সভাপতি, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ পৌর আ.লীগের সকল নেতা-কর্মিসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন। তারা যে ভাবে বলবে আমরা সে ভাবে চলবো। তবে, কোন অনিয়মের মাধ্যমে সম্মেলন করার চেষ্টা এবং সন্ত্রাসী হামলা চালানো হলে আমরা প্রতিহত করতে সম্পুর্ন্ন প্রস্তুত রয়েছি। কোন বির্তকিত কমিটি মেনে নেয়া হবে না বলে নিশ্চিত করেন এসব নেতারা।
এবিষয়ে জানতে কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের যে কোন মোকাবেলা করে নিরপেক্ষ ভাবে কমিটি কমিটি গঠন করা হবে। তবে, কোন অনিয়মের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে। তিনিও সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করে দলের শীর্ষ নেতাসহ সাতক্ষীরা জেলা নেতৃবেৃন্দর হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আগামী ২৯ তারিখে কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সম্মেলন সফল ভাবে সম্পন্ন হবে।কোন প্রকার উত্তেজনা নেই। সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম,মজনু চৌধুরি ও আমিনূল ইসলাম মিলে যে কমিটি গঠন করেছে সেই কমিটিতে আগমিতে কমিটি গঠন করবে। আত্বীয় স্বজন নিনে যে কমিটি গঠন করেছে তো বর্তমান সাধারন সম্পাদক ও আমি মিলে করেছি।
Comments are closed.