January 15, 2025, 9:21 pm
কলারোয়ায় প্রতিনিধি : কেরামবোর্ড খেলা অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু সেটা যদি রীতিমত জুয়ার মধ্যে চলে যায় তবে সেটা আর ইতিবাচক থাকে না। বাজি ধরে, তুলনামূলক বেশি অংকের টাকা কিংবা বিভিন্ন পণ্যের বিনিময়ে কিংবা অনৈতিক টাকার হার-জিতের বিনিময়ে খেলা হলে সেই প্রতিযোগিতার খেলা জুয়ার আসরে রূপ নেয়। কেরামবোর্ড খেলায় হেরে গেলে বিজয়ীকে ‘পূর্বঘোষিত টাকা’ দিতে হয় পরাজিতকে। টাকার পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য কিংবা জিনিষপত্রও অনেক সময় যুক্ত হয় এক্ষেত্রে। আর এমনই জুয়ার বিভিন্ন দৃশ্য চোখে পড়ে কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকায়। পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের চায়ের দোকান ও অন্যান্য স্থানে কেরামবোর্ড বসিয়ে খেলার ব্যবস্থা করতে দেখা গেছে অনেকে দোকানদারকে। কিন্তু এসকল বেশিরভাগ দোকানেই রীতিমত বাজি ধরে হার-জিতে টাকার বিনিময়ে খেলা হওয়ায় ‘জুয়া’য় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন বয়সীরা। বাদ যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরাও। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রমরমা এই কেরামবোর্ডের দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। নাম প্রকাশে অনেকে জানান- কেরামবোর্ড খেলোয়াররা দোকানীকে গেমপ্রতি ১০ টাকা করে দিলেও নিজেরা ‘হার-জিতে বিভিন্ন অংকের টাকার চুক্তিতে’ খেলা করে থাকে। অনেকে সিগারেটের পাশাপাশি বিভিন্ন মাদকও সেবক করে থাকে। বিনোদনের পাশাপাশি জুয়ার নেশায় অনেকে বিভোর হয়ে পড়েছে। অনেকসময় খেলোয়ারদের নিয়ে বাজি ধরে উপস্থিত দর্শকরাও। বাজি’কে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যে ঝগড়াঝাটি, হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। যোগ হয় অশ্লীল ভাষার কথাবার্তাও। কেরামবোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে চা-বিস্কুট-সিগারেট বেচাকেনা বেশি হওয়ায় দোকানদাররাও সাধারণত এটিকে প্রচ্ছয় দিয়ে থাকে।সচেতন মহলের দাবি, ‘কেরামবোর্ড খেলাকে বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে যাতে কোনভাবেই জুয়ায় পরিণত না হয় সেদিকে নজরদারি করতে আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর হোক।’
Comments are closed.