December 11, 2023, 12:40 pm
জেলা প্রতিনিধি: অসময়ে কার্তিকের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে মানুষের জীবনের চলার গতি হয়ে পড়েছে স্থবির। খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। তারা কর্মের সন্ধানে বাইরে যেতে না পারায় এক প্রকার অলস সময় কাটাচ্ছেন। শিশু এবং বৃদ্ধাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে আরো বেশি, গরম আবহাওয়ার মধ্যে বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করায় ঠান্ডায়, জ্বর, সর্দি কাশির প্রকোপ বেড়েছে অনেক বেশি। আগেই পানিতে ভরা ছিলো অনেকের উঠান। সেইপানি নামতে পারেনি। তার উপরে আবার বৃষ্টি। এতে করে মানুষের চলাচল এবং জীবনে নেমেছে দুর্ভোগ। হেমন্তের শিশির পড়া শীত নয়, এ যেন বৃষ্টির রাণী আবারো অনবরত কেঁদে চলেছে। একই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। হেমন্তের আগমনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে জনজীবনে কিছুটা জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে। গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঝরছে অবিরাম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ঠাণ্ডা বাতাসের কবলে পড়ে অনেকে গরম কাপড় গায়ে দিচ্ছেন। একই সঙ্গে শীত নিবারণে মানুষদের চলছে নানান প্রস্তুতি।এদিকে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের ফলে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তা-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। ভ্যান-রিকসা চালকরা পেটের তাদিগে বের হলেও নেই পর্যাপ্ত যাত্রী। এছাড়া অন্যের জমিতে কাজ করা শ্রমিকরাও শ্রম বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে জেলায় শীতকালীন সবজিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসবে প্রভাবে শহর, গ্রাম ও হাট-বাজারের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরার কাটিয়া এলাকার ভ্যান চালক আব্দুল মালেক বলেন, গত তিন দিনে বৃষ্টিপাত ও হালকা শীত অনুভূতির কারণে যাত্রীশূন্য হয়ে পড়েছে। যে কারণে আয় রোজগার হচ্ছে না।এতে করে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারছি না। একই কথা বলেন, বিনেরপোতা এলাকার আনিসুর রহমান, লাবসার আজিজুল ইসলাম, ফিংড়ির তরিকুল ইসলামসহ অনেকেই। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকরা বৃষ্টিমূখর দিনে অলস সময় পার করেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ‘গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ফলে কৃষকদের শীতকালীন ফসলের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে ফুলকপি, বেগুনের ক্ষতি হতে পারে।
Comments are closed.