September 10, 2024, 10:15 am
আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত, পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে জমি জবর দখলের ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের মারপিটে নারী-পুরুষ শিশুসহ ৩ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ৮ জুলাই সকাল ৬টায় কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন, হোগলা গ্রামের ওয়াজেদ আলী গাজীর পুত্র গোলাম রব্বানী (৪৫) তার স্ত্রী রাফিজা খাতুন (৩৮) এবং পুত্র রানাউল ইসলাম (১৪)। ঘটনায় দিন (৮ জুলাই) ভুক্তভোগী গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে থানায় এজাহার দিলেও ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রতিপক্ষের নিকট থেকে পাল্টা অভিযোগ নিয়ে থানায় মীমাংসার নামে তালবাহানা শুরু হয় বলে জানান ভুক্তভোগী।
কালিগঞ্জ থানার অভিযোগের সূত্র এবং হোগলা গ্রামের রহিম গাজী, রহমত গাজী, বাদশা গাজী, রেহেনা বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, হোগলা মৌজার ৭নং খতিয়ানের ৪৯ দাগের সাড়ে ১১ শতক জমি নিয়ে গোলাম রব্বানীর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত ঝন্টু টপালি এর পুত্র আমজাদ টপালি গংয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে গোলাম রব্বানীর ভোগ দখলীয় জমিতে আমজাদ টাপালি বাদী হয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় ১০১৭ নং একটি পিটিশন মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত বিরোধীয় জমিতে নিজ, নিজ দখলীয় অবস্থানে অবস্থান করার জন্য আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ৮ জুলাই মৃত ঝন্টু টাপালির পুত্র আমজাদ, ওয়াজেদ শাকের, মাছিম এর নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী পলাশ, আলমগীর, শহিদুল, শফিকুল, রাজাউদ্দিন, শাহিনুর, শাহ আলম, ইসরাফিল শাহাজান আমজাদসহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে হঠাৎ করে জমিতে যেয়ে বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলে।
এ সময় বাঁধা দিতে গেলে জমির মালিক গোলাম রাব্বানী তার স্ত্রীর রাহিজা খাতুন, পুত্র রানাউল ইসলাম এবং তার কন্যাকে রশি দিয়ে বেঁধে মুখে গামছা পেছিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে জমি দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ আমজাদ টাপালি জানান, গোলাম রব্বানীর ওইখানে কোন জমি নেই। সমস্ত সম্পত্তি তার শরিকরা বিক্রি করে গেছে, বর্তমানে আমার নামে রেকর্ড হয়েছে। এ ব্যাপারে থানার উপ-পরিদর্শক মিলন জানান, মারামারির ঘটনায় দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তারা উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য সময় চেয়েছে। মীমাংসা না হলে দুই পক্ষের মামলা নেওয়া হবে।
Comments are closed.