September 7, 2024, 10:51 am
‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই’, ‘কি জা.দু করিলা পিরিতি শিখাইলা’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালবাসা চায়’ এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলম খান (৭৭) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার সকাল ১১টা ৩২ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে সংগীত পরিচালক আরমান খান। আরমান খান বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই আব্বা বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। গতকাল শুক্রবার সকালে চলেই গেলেন। আপনারা সবাই আমার বাবার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করবেন।’ সংগীতজ্ঞ আলম খানের পুরো নাম খুরশিদ আলম খান। পিতার নাম আফতাব উদ্দিন খান। পপস¤্রাট আজম খানের বড় ভাই তিনি। ১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন।
চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার বিভাগে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। আলম খানের সুর ও সংগীতে শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে আরও রয়েছে, ‘জীবনের গল্প বাকি আছে অল্প’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’ ইত্যাদি। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে আলম খানকে বলা হয় সুরের জাদুকর। তাঁর সুরে গান গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেক শিল্পী। আলম খান ব্যক্তি জীবনে তিন সন্তানের জনক। দুই ছেলে আরমান খান ও আদনান খান। তাঁরা দুজনেই সংগীত পরিচালক। একমাত্র মেয়ে আনিকা খান।
Comments are closed.