February 11, 2025, 12:48 pm
জমি ক্রয় করে বিপাকে পড়েছে এক ব্যবসায়ী। জানা গেছে, রসুলপুর মৌজার সিএস ১২৬ খতিয়ানের মালিক সবুর খা। সবুর খা’র নিকট থেকে ১৯৩৩সালে উপেন্দ্র সাহা নামক এক ব্যক্তি ওই জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয়ের পর সেটেলমেন্ট জরিপে উপেন্দ্র সাহার নামে এসএ রেকর্ড হওয়ার কথা থাকলেও তিনি মৃত্যুবরণ করায় তার ওয়ারেশরা যোগাযোগ না করার কারণে মূল মালিক সবুর খা’র ছেলে হান্নান খা’র নামে রেকর্ড হয়। এদিকে, উপেন্দ্র সাহার ওয়ারেশদের নিকট থেকে ১৯৯৭সালের ২অক্টোবর ৮২২০ ও ৮২২২নং দলিল মূলে শহরর সুলতানপুর এলাকার আমিনুর দিং ওই জমি ক্রয় করে আদালতে এসএ রেকর্ড সংশোধনী মামলা করে। মামলায় আমিনুর দিং ডিগ্রী পায়। পরে আমিনুর অন্য শরীকদের নিকট থেকে দানপত্র দলিলমূলে ও নিজ অংশমূলে সমুদয় জমির (৩১ শতক) মালিক হয়। যার বর্তমান জরিপ ১৮৮৮নং খতিয়ানে আমিনুরের নামে রেকর্ড হয় এবং ১৪৩ৃ০সাল পর্যন্ত তার খাজনা পরিশোধ করে। অপরদিকে, সবুর খার বিক্রিত জমি তার পোতাদের কাছ থেকে ২০০৪সালে বিনেরপোতা আঞ্চলিক কার্যালয়ের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর চিফ সাইন্টিফিক অফিসার (সিএসও) ড. তাহমিদ হোসেন ড়আনসারী ওই জমি ক্রয় করে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ড. তাহমিদ হোসেন আনসারী যে জমি ক্রয় করছেন সে জমি আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। ড. তাহমিদ হোসেন আনসারী বর্তমানে ওই জমি নিয়ে বর্তমান মালিক আমিনুরকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছেন। এনিয়ে সদর থানায় কয়েকবার অভিযোগ ও জিডি করা হলে সদর থানা পুলিশ এ নিয়ে কয়েকবার ড. তাহমিদ হোসেন আনসারীকে থানায় হাজির হওয়ার জন্য বলা হলে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপস্থিত হয়নি বলে জানা গেছে। এমনকি কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে জমির মালিক আমিনুরের চাষ করা ধান জোর পূর্বক তার বাহিনী নিয়ে কাটতে যায় ড. তাহমিদ হোসেন আনসারী। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে আমিনুর পুলিশ সুপার সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Comments are closed.