February 11, 2025, 12:18 pm
ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিনা ইউনিয়নের সিংগায় প্রবাহমান খালকে জমি দেখিয়ে নেওয়া হয়েছে অবৈধ্য বন্দোবস্ত। এসব খালে এখন আড়াআড়ি বাধঁ দিয়ে করা হচ্ছে মৎস্য চাষ। অবৈধ্য দখলদাররা ওই খাল থেকে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য পানি নিতে দিচ্ছে না। এদিকে ক্রসবাধঁ দেয়ায় অল্প বৃষ্টি হলেই সিংগা গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিরুপায় হয়ে প্রতিকার চেয়ে সিংগার গ্রামবাসী জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন। লিখিত আবেদন সুত্রে জানা যায়, অবৈধ্য পথে এলাকার বৈকণ্ঠ মিস্ত্রী, রবিন্দ্রনাথ বৈরাগী, রামপদ, নরেন্দ্রনাথ, সন্ন্যাসী, আব্দুল জলিল গাজী, পদ্দুল গাজী, নুর ইসলাম মোল্লা, আনন্দ বৈরাগী, নিত্য বিশ্বাস, অমল দাস, শিবপদ গাইন, আলী গাজী, তুরফাণ মোল্লা, অর্জুন মন্ডল, রাখাল বৈরাগী, নিতাই গাইন, মিঠে রবিন, মনিন্দ্র বিশ্বাসহ অনেকে সিংগার খালটি জমি দেখিয়ে সরকারের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে বন্দোবস্ত নিয়েছেন।
বন্দোবস্ত নিয়ে ওই খালে আড়াআড়ি বাধঁ দিয়ে অনেকে মৎস্য ঘের করেছেন। এখন ধানে পানি দেয়ার জন্য ওই খাল ব্যবহার করতে চাইলে বন্দোবস্ত গ্রহনকারীরা বাধাঁ দিচ্ছেন। তাছাড়া আড়াআড়ি বাধঁ দেয়ায় পানি সরবরাহের একমাত্র খাল দিয়ে আর ওঠানামা করতে পাছে না। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই সিংগা গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। আজ শনিবার সকালে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরির্দশন কালে ক্রস বাধঁ দেয়ার সত্যতা পেয়েছেন। তবে অভিযুক্তরা ক্রস বাধঁ দেয়ার কথা আংশিক সত্য বলে স্বীকার করলেও পানি নিতে দেয়া হচ্ছে কথাটি সঠিক না বলে জানান। তাছাড়া ২০/৩০ বছর ধরে তারা মৎস্য ঘের করে আসছেন বলে এ প্রতিবেদকে বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান বলেছেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেয়া হবে।
Comments are closed.