February 11, 2025, 12:23 pm
তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপদের সম্পত্তি বিক্রিসহ মালিকানা সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকসহ আদালতে মামলা চলমান থাকলে আদৃশ্য কারনে প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের পরিবারের। এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবীতে কুমিরা এলাকায় মানববন্ধন করে স্থানীয় জনতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক জনপদের উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলার কুমিরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দোকানপাট ভাংচুরেরর কারনে নিশ্ব হয়ে যায় তিন শতাধিক পরিবার। পরবর্তীতে কুমিরা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পার্শবর্তী স্কুলের মাঠে একটি অস্থায়ী বাজার নির্মাণ করে দেন। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছ থেকে প্রকল্প নিয়ে পাশে একটি অস্থায়ী বাজারসহ দুই শতাধিক দোকান নির্মাণ করে দেয়। এ ঘটনার কয়েকদিন যেতে না যেতেই এলাকার কয়েক ব্যাবসায়ী কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দোকান বিক্রি করা শুরু করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
ভুক্তভোগী কোমল রায় নামে এক নরসুন্দর বলেন, তারা প্রায় ৪০বছর ধরে কুমিরা এলাকায় নতুন বাজারের পাশে বসবাস করে আসছিল। এখানে তাদের রের্কডীয় ৩ শতাংশ জমি রয়েছে। বর্তামান ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতায় তার বাড়ির সামনের একটি ঘর জোর পূর্বক ভেঙে দিয়ে দুটি দোকান নির্মাণ করেন। কিছুদিন আগে জানতে পারেন সেই দুটি দোকান স্থানীয় জামাত নেতা আবুল হোসেন ও নাজমুল হোসেনের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার ও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বিক্রির করেছেন চেয়ারম্যান। তিনি বার বার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তাকে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালে তাকে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে বলে জানান তিনি। সুজাউদ্দীন নামে স্থানীয় এক শ্রমিক নেতা বলেন, বছর তিনেক আগে ২.৫ শতাংশ জমি কিনে ৪ টি দোকান ঘর নির্মাণ করেছিলেন তিনি। মাস তিনেক আগে চেয়ারম্যান আজিজুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার দোকান দখল করে নেয়। পরবর্তীতে চাপে পড়ে আমাকে ৭০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করে। আমি টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সময়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করি এবং সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল বলেন, আমি কারো কাছে দোকান বিক্রি করেনি। জনগণের সুবিধার জন্য নিজের টাকা ব্যায় করে বাজার করে দিয়েছি। জন্ম নিবন্ধনে হয়রানির বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, সরকারী অফিসে নানা সময় ঝামেলা থাকতে পারে।এছাড়া তিনি কোন জামাত বিএনপিকে পশ্রয় দেন না বলে দাবী তার। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদের কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান অভিযোগ পেলে প্রয়োজনী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Comments are closed.