February 14, 2025, 4:26 am
পাটকেলঘাটা সাতক্ষীরা জেলার সর্ববৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে একেবারে পিছিয়ে রয়েছে। পাটকেলঘাটা বাজারে প্রবেশের প্রতিটা রাস্তার বেহাল দশা। সাধারন জনগন প্রবেশ করতেই চাইছেনা বাজারে। সাতক্ষীরা জেলার অবহেলিত পাটকেলঘাটা বাজারের রাস্তা ঘাটের অবস্থা দেখলে বোঝা যায় দৃশ্যমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বর্হিঃপ্রকাশ ঘটেছে এখানে। শুধু রাজনৈতিক জটিলতার কারনে উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪শ সাধারন মানুষ চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। ব্যবসায়িক ভাবে কোটি কোটি টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে বাজারের ব্যবসায়ীদের। অধিকাংশ ব্যবসায়ী ব্যাংক বীমা এনজিও কর্মীদের অভিযোগ, রাস্তার বেহাল দশা না হলে পাটকেলঘাটা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতো। পাটকেলঘাটা বাজারের সমস্ত রাস্তাঘাট বছরের ১২ মাস চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকে। আর বর্ষা মৌসুম আসলে তো চরম ভোগান্তী পোহাতে হয় বাজারে আসা সকল পেশা শ্রেণীর মানুষদের। অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে পাটকেলঘাটা বাজারের প্রায় ৭টি রাস্তা। প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে পাটকেলঘাটা বাজারে প্রবেশের হাইস্কুল রোড, পল্লী বিদ্যুৎ সড়ক, বলফিল্ড সড়ক, কলেজ সড়ক, জোড়া টাওয়ার সড়ক, কালীবাড়ী সড়ক, কাউন্সিল সড়কের ভগ্নদশা চোখে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তার প্রবেশের মুখে হাটুপানি কাদা জামে নাভিশ্বাস হওয়ার উপক্রম। এছাড়া বাজারে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যে কারনে রাস্তার দু’ধারে পানি জমে ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষায় রাস্তায় হাঁটু পানি জমে যায়। এছাড়া দীর্ঘদিন রাস্তাগুলো সংস্কার না করায় বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে সহজে প্রবেশ করতে পারেনা ভারী কোন যানবাহন। প্রতি বুধ ও শনিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা পাটকেলঘাটায় আসে। এলাকার স্কুল-কলেজের শত শত ছাত্র-ছাত্রী এসব পথে যাতায়াত করে। চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে তাদের সাথে সাধারণ মানুষেরও। ময়লা আবর্জনা পচে দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয় সকলের। প্রতিনিয়ত দূর-দুরন্ত থেকে বাজারে আসা অনেক ক্রেতা-বিক্রেতাকে বাজারে এসে অনেক সময় কাদামাটি মেখে বাড়ি যেতে হয়। হাইস্কুল রোড কয়েক যুগেও সংস্কার করা হয়নি। প্রতিদিন শতাধিক মালবোঝাই ট্রাক পাটকেলঘাটার বিভিন্ন পথে আসা যাওয়া করে। এক কথায় সবগুলো রাস্তায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ রোডেও জনসাধারণ এবং যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে নতুন করে সংস্কার করায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার ত্রেতা-বিক্রেতা। হর-হামেশা ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। তাছাড়া বাজারের বিভিন্ন রাস্তার উপরে হাট বসার কারণে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ জানান, উপজেলা রোড যেগুলো সেগুলোর কাজ শুরু হয়ে গেছে যেমন সরুলিয়ার রাস্তাটি আর পাটকেলঘাটার রাস্তা গুলো ভিলেজ রাস্তা এগুলোর ব্যাপারে ২ মাস আগে ডিপিবি তে কাগজ পাঠানো হয়েছে অনুমোদন হয়ে আসলে তার পরে কাজ শুরু হবে। সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি মাষ্টার শেখ আব্দুল হাই বলেন, পাটকেলঘাটার বাজারের সমস্ত রাস্তাঘাট নিয়ে এমপি সাহেব ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজে বলেছি। রাস্তাঘাট গুলোর উন্নয়নের ঢালাই রাস্তা করার সুপারিশ করেছি। সেখানে খরচ হবে সাড়ে ১০ কোটি টাকা। ২ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে শুনেছি। তবে আশাবাদী দ্রুতই কাজ শুরু হবে রাস্তাঘাটের।
Comments are closed.