September 10, 2024, 12:06 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
ফলোআপ: কপিলমুনিতে মারপিটের শিকার হয় বিয়ের দাবীতে অনশনরত ইয়াসমিন!

ফলোআপ: কপিলমুনিতে মারপিটের শিকার হয় বিয়ের দাবীতে অনশনরত ইয়াসমিন!

গত ৯ জুলাই বিয়ের দাবীতে কপিলমুনির নাছিরপুর কলেজ পাড়াস্থ আলতাপের বাড়িতে সকাল থেকে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করে ইয়াসমিন নামের এক গার্মেন্টকর্মী। কিন্তু সন্ধ্যার পরবর্তী ইয়াসমিন নিখোঁজ হন। আর এমন বিষয়টি নিয়ে চলছে নানামুখী সমালোচনা। এলাকাবাসীর প্রশ্ন মেয়েটি গেল কোথায়? কি ঘটেছিল সন্ধার পর? নাকি মেয়েটি তার আসল গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন? এমন নানান প্রশ্ন এখন কপিলমুনির সর্বত্র। এদিন ক্রন্দনরত ইয়াসমিন তার সাথে বিগত দিনে ঘটে যাওয়ার নানা কাহিনীর বর্ণনা করেন। কিন্তু তাতে হৃদয় টলেনি পাষন্ডদের। খবর পেয়ে আলতাপ তার শশুরালয় পাটকেলঘাটা থেকে বড়ভাই ফারুককে মোবাইল ফোনে বিষয়টি মিটাতে বলে দেন। কিন্তু দু’জনকে বিয়ে ছাড়া মেটানো সম্ভব ছিলনা। এক পর্যায় আলতাপের বড় ভাই ফারুক জানান, তারা আলতাপকে অন্যত্রে বিয়ে দিয়েছেন। এখন তোমাকে বিয়ে করা সম্ভব হবেনা বলে ইয়াসমিনকে চলে যেতে বলেন ফারুক। কিন্তু বিষয়টি মানতে চাননি ইয়াসমিন। এমতাবস্থায় ইয়াসমিনকে গালিগলাজসহ ফারুকের নির্দেশে শারীরিকভাবে মারপিট করে আগন্তুক কয়েকজন মহিলা। একইভাবে স্থানীয় কতিপয় যুবককে লেলিয়ে দেয় আলতাপ। এরপরের কাহিনী বিব্রতকর।
জানাগেছে বড় ভাই ফারুক, তার স্ত্রী সহ অপরিচিত একাধিক মহিলা ইয়াসমিনের উপর শারীরিক নির্যাতন সহ অশ্লীল ভাষায় গালিগলাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ সেখানে গেলেও অদৃশ্য কারনে কোন কিছুই বলেননি। ইয়াসমিন তাদের নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য করেও সন্ধা পর্যন্ত বিয়ের দাবী নিয়ে বসেছিলেন। এরপর সন্ধ্যা পর তাকে কোথায় নেয়া হয়েছে? মেয়েটি এখন কোথায়? কি হয়েছিল সেদিনকার সন্ধ্যার পর। নাকি রাতেই কোথাও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর। ঘটনার পর থেকে ইয়াসমিনের ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
প্রসংগত, ঢাকার নবিনগর এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরীর সুবাদে ইয়াসমিন আক্তার (১৯) নামের এক যুবতীকে ভালবেসে শয্যাসঙ্গী করেছিল কপিলমুনির নাছিপুর কলেজ পাড়ার বাসিন্দা কবির কারিকারের পুত্র সুদর্শন যুবক আলতাপ (২৬)। বিয়ের প্রলোভনে ফেলে দিনের পর দিন লম্পট আলতাপ ইয়াসমিনের সাথে তার ভাড়া বাসায় ইচ্ছামাফিক ভোগ বিলাস করতে থাকে। এক পর্যায় আলতাপ তার পিতার অসুস্থতার কথা জানিয়ে ইয়াসমিনের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। ইয়াসমিন তখনও জানতো না আলতাপ বিয়ের পিঁড়িতে বসতেই বাড়ি এসেছে। সর্বশেষ গত ৯ জুলাই কপিলমুনি আলতাপের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবি জানিয়ে অনশন শুরু করে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com