February 14, 2025, 5:26 am
খোলপেটুয়া নদীর ভয়াবহ নদীভাঙ্গনে মারাত্বক ঝুকিঁর মুখে গাবুরার সহস্রাধিক পরিবারের পানি ও জলের সংকট নিরসনের খাবার পানির পুকুর দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প। আজ ২৬ মার্চ ভোর রাতে মুহুর্তের মধ্যে ২০০ মিটার নদীচর ভেঙ্গে দৃষ্টিনন্দনের দক্ষিন অংশের রাস্তায় লেগেছে গভীর ভাঙ্গন। আতংকিত ও দিশেহারা এলাকাবাসী চাইছে অতিদ্রুত সরকারী সাহায্য। গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় উপস্থিত আছেন। ২০০৯ সালে আইলায় সমগ্র গাবুরাসহ বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হলে সরকারি দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পটি অক্ষত ছিলো। কিন্তু ২৬ মার্চ ২০২৩ রবিবার ভোর রাত থেকে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। নদী ভাঙনে প্রকল্পটি মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে করে ২০০৩ সালে সরকারী অর্থে নির্মিত প্রকল্পটি বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বিগত ২০১৯ সাল থেকে একাধিকবার নদী ভাঙ্গন হলেও সরকারী ভাবে তেমন কোন বাঁধ নির্মান সহায়তা দেওয়া হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জি এম মাসুদুল আলম জরুরী সহায়তার জন্য বিভিন্ন মহলে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেকে অভিযোগ করেন ওয়াব্দার বাহিরে নদীচরের স্থাপনা হওয়ায় পানিউন্নয়ন বোর্ড দায়িত্ব নিতে চান না এড়িয়ে যান বিভিন্নভাবে। চেয়ারম্যান মহদয়, স্থানীয় গ্রামবাসি ও মসজিদ মাদ্রাসার অর্থে গ্রামবাসি এর আগে বাঁধ নির্মান করলেও এবার বড় ধরণের সহায়তা দরকার। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন ১২ নং গাবুরার ৯নং সোরা গ্রামের খোলপেটুয়া নদী অববাহিকায় অবস্থিত সরকারি দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পের সীমানা রাস্তার ভিতরে তিনধারে খাল, ফসলী জমি, শতাধিক নারকেলগাছসহ নানা জাতের বৃক্ষ, গাবুরার বৃহত্তম খাবার পানির পুকুর, সাইক্লোন শেল্টার কাম প্রাইমারী স্কুল, জামে মসজিদ, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও সরকারী কবরস্থান রয়েছে। ২০০৩ সালে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্কের আদলে সরকারিভাবে নদীরচরে তৈরি হয় এই স্থাপনা। গ্রামের মানুষের সর্ববৃহৎ সমস্যা খাবার পানির সমস্যা সমাধানকল্পে জনদাবীর প্রেক্ষিতে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তৈরি হয়। ২০০৯ সালে গাবুরা প্লাবিত হলেও দৃষ্টিনন্দন অক্ষত থাকে। হাজার হাজার বিপন্ন পরিবার এখানে খাবার পানির পুকুরের পানি পান করেছে এবং অদ্যাবধি গ্রামবাসি পান করে। প্রকল্পের পশ্চিম পাশের রাস্তা নদী ভাঙনে ঝুঁকির মুখে স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুনজুর হোসেন ও দৃষ্টিনন্দন এলাকার গ্রামবাসি মো. কবির হোসেন জানান এই মুহূর্তে ভাঙন রোধে এগিয়ে না এলে প্লাবিত হতে পারে প্রকল্পের ভিতরের সকল প্রতিষ্ঠান ও গাবুরার প্রধান খাবার পানির পুকুরটি। এলাকাবাসি জানান দৃষ্টিনন্দনের রাস্তা প্লাবিত হলে সমগ্র গাবুরা প্লাবিত হতে পারে। কারণ ভিতরের পাউবোর ওয়াব্দার রাস্তাটি সংস্কারহীন থাকায় অনেক নিচু হয়ে গেছে।
Comments are closed.