February 14, 2025, 5:09 am
মধুর পাশ নিয়ে সুন্দরবনে যাওয়ার পর ঘুর্নিঝড়ের কবলে পড়া ২৫ মৌয়ালের ঠিকানা হয়েছে সাতক্ষীরা কারাগার। সুন্দরবনের প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকার খাল ও নদী থেকে উদ্ধারের পর এসব বনজীবীকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে পশ্চিম সুন্দরবনের হলদেবুনিয়া এলাকা হতে উদ্ধারের পর শুক্রবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনের মামলা দায়েরের পর কারাগারে পাঠানো হয়। যদিও বন বিভাগের দাবি সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা থেকে আটক এসব বনজীবীর সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। এসময় আটক জেলেদের নিকট থেকে তিনটি ডিঙি নৌকা উদ্ধারের দাবিও করেছে বন কর্তারা।
আটককৃতরা হলো-মো: আব্দুর রাজ্জাক, আফছার গাজী, শাহাদাৎ হোসেন, মো: হাকিম গাজী, সফিকুল ইসলাম, ইউনুস আলী সরদার, শহিদুল গাজী, কেরামত মিস্ত্রি, কামরুল ইসলাম, মো: ইদ্রীস আলী, মাকসুদুল আলম, মো: সাদ্দাম হোসেন, হযরত আলী শেখ, আবু হানিফা, হয়রত আলী, মো: আলাউদ্দীন মালী, কামরুল ইসলাম(২), আমজিয়াদ মালী, ইসমাইল হোসেন, মো: জুব্বার আলী, সামাদ আলী, সফেদ আলী গাজী, মনিরুল ইসলাম, শাহ আলম ও লিয়াকত হোসেন। এসব জেলেরা ৯নং সোরা, চাঁদনীমুখা ও ডুমুরিয়াসহ শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে বসবাসকারী।
আটক জেলেরা জানায়, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন থেকে মধু কাটার পাশ(অনুমতি) নিয়ে তারা সুন্দরবনে যায়। সিগনাল চলার এক পর্যায়ে ঝড়ের কবলে পড়ে বৃহস্পতিবার তারা পথ হারিয়ে ভারতীয় অংশে ঢুকে পড়ে। এসময় ভারতীয় সুন্দরবনের বনপ্রহরীসহ বিএসএফ সদস্যা তাদের ধাওয়া করলে মধু সংগ্রহের সরঞ্জাম ফেলে জীবন নিয়ে তারা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছোট বড় দুটি নদী সাঁতরে হলদেবুনিয়া অংশে পৌছানোর পর বাংলাদেশের বনরক্ষীরা তাদের উদ্ধার করে বুড়িগোয়ালীনি স্টেশনে নেয়ার পর আটক দেখিয়েছে।
এসব জেলেরা দাবি করেন, মহাজনের নিকট থেকে চড়াসুদে ঋণ নিয়ে মধু কাটতে সুন্দরবনে গিয়েছেল তারা। এখন সর্বস্ব হারিয়ে জেলের ঘানি টানার পর মহাজনের টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে। মৌসুমের শুরুতে এমন বিপদে পড়ার কারনে সারা বছর ধরে সাংসারিক ব্যয় নির্বাহ নিয়েও তারা বিপদগ্রস্থ।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জানান, অভয়ারণ্য এলাকায় যেয়ে মাছ শিকারের সময় হলদেবুনিয়া স্টেশন ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫ জনকে আটক করা হয়। অনুমতিপত্র না থাকার পরও তারা সুন্দরবনে প্রবেশ করার পাশাপাশি নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে যাওয়ার কারনে তাদের বন বিভাগের মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed.