September 10, 2024, 12:07 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

হত্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলার কৈখালী গ্রামের মৃত এছেম সরদারের পুত্র ইমান হোসেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমার মেঝ ভাই ইউপি সদস্য আলী হোসেনের সাথে বড় ভাই আনছার আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ৯ জুন মেঝ ভাই আলী হোসেন, তার পুত্র জুলফিকার আলী, জুয়েল ও রুবেল মৎস্যঘেরের মধ্যে একা পেয়ে আমার বড় ভাই আনছার আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।

এ সময় তার ডাক চিৎকারে আমি, ভাইপো আমজেদ হোসেনসহ স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে বড় ভাইকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। গত ১২ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বড় ভাই আনছার আলী মৃত্যু বরণ করেন। এঘটনায় আমার ভাইপো নিহত বড় ভাইয়ের পুত্র আমজেদ হোসেন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে মেঝ ভাই আলী হোসেন পালিয়ে যান। এদিকে, হত্যা মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে আলী হোসেনের স্ত্রী নাছিমা খাতুন গভীর রাতে নিজেদের মৎস্যঘেরে বিষ প্রয়োগ করে আমাকেসহ নিহত বড় ভাইয়ের পুত্রসহ মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্দে মিথ্যা মামলা দেওয়ার পায়তারা করেন। থানায় অভিযোগ জমা দিলেও এ ঘটনার কোন সত্যতা না পেয়ে পুলিশ কোন মামলা নেননি। তবে, বড়ভাই আনছার আলী হত্যা মামলায় বর্তমানে প্রধান আসামী জুয়েল, মেঝ ভাই আলী হোসেনসহ ৪ জন আসামী কারাগারে রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বড় ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ায় এবং মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় আমার মেঝ ভাইসহ তার পুত্ররা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আমাকে বিভিন্নভাবে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আমাকেসহ নিহত বড় ভাইয়ের পুত্রসহ মামলার স্বাক্ষীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির উদ্দেশ্যে একেরপর এক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন নাছিমা খাতুন। স্বামীর পরামর্শ অনুযায়ী মৎস্যঘেরে বিষ প্রয়োগ করেও আমাদের ফাঁসাতে না পেরে আলী হোসেনের স্ত্রী নাছিমা খাতুন, পুত্র বধু মুক্তা সুলতানা রানী ও সুমী সীমানায় নির্মিত প্রাচীর ভাংচুর করে। যা মসজিদের মুসুল্লীরা দেখে হতবাগ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ওই বিষয়টিকে পুঁজি করে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। অথচ উক্ত প্রাচীর আমার নির্মিত এবং আমার সীমানায়। শুধুমাত্র বড়ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এধরনের চক্রান্ত করা হচ্ছে। তবে, এসব মিথ্যা চক্রান্তের ঘটনায় আমরা জড়িত না থাকায় পুলিশ আমাদের কোন ধরনের হয়রানি করেননি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় তার মেঝ ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের চক্রান্ত থেকে রেহাই পেতে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com