September 7, 2024, 12:00 pm
শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানিতে ভেঙে যাওয়া বেড়িতে রিং বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ভাঙ্গনে অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার ৬ দিন পর অবশেষে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে এ রিং বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে গ্রামে জোয়ারের পানি ঢোকা বন্ধ হয়েছে। বেড়িবাঁধ সংস্কারে স্থায়ী সমাধান না হলেও এতে স্বস্তির নি:শ্বাস দেখা যাচ্ছে গ্রামবাসীর চোখেমুখে। সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ছাড়াও ইউনিয়ন স্থানীয় হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহনে বাঁশ দিয়ে পাইর্লিং করে ও বালুর বস্তা ফেলে এই বাঁধের কাজ শুরু করা হয়।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার উপকূলীয় মানুষের অংশগ্রহনে রিং বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন জানান, আল্লাহর অশেষ রহমতে রিং বাঁধ নির্মাণ শেষ হয়েছে। এলাকার আর পানি প্রবেশ করছে না। বাঁধটি নির্মাণে এলাকাবাসী যেভাবে সাড়া দিয়েছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে ভাঙ্গনকৃত বেড়িবাঁধের রিং বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণ কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী সর্বাত্বক সহযোগিতা করেছেন এজন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার জানান, উপকূলীয় মানুষের প্রধান দাবী স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ। জোয়ারের পানির তীব্রতা থাকায় রিং বাঁধটি নির্মাণে একটু দেরি হয়েছে। আগামী দিনে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও উপকূলীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট উপস্থাপন করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি এবং সংশ্লিষ্ট কাজে সহযোগিতার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই শুক্রবার রাতে দূর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ১৫০ ফুট এলাকাজুড়ে উপকুল রক্ষা বেঁড়িবাধটি ভেঙে যায়। এতে বুড়িগোয়ালিনী ও আটুলিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ প্লাবিত হয়। ভেসে যায় হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার।
Comments are closed.