February 14, 2025, 5:49 am
শ্যামনগরে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম এবং জাল টাকাসহ এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মার্চ) রাতে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউপির ঘোলা এলাকায় র্যাব এবং পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রতারক এবাদুল সরদারকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ১৪ হাজার জাল টাকাসহ জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত এবাদুল সরদার ঘোলা গ্রামের গোলাম হোসেন সরদারের ছেলে।শ্যামনগর থানা পুলিশ জানায়, যশোরের ঝিকরগাছা এলাকার মৃত আলতাফ হোসেন মোড়লের ছেলে আলি হোসেন সেন্টুর পূর্ব পরিচিত একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে বাবলুর মাধ্যমে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউপির ঘোলা গ্রামের এবাদুল সরদার এবং একই এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেন সরদারের ছেলে গোলাম হোসেন সরদারের সাথে পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে এবাদুল ও গোলাম হোসেনগং কেমিক্যাল দিয়ে টাকা দ্বিগুন করে দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখাতে থাকে।
তাদের প্রলোভনে পড়ে প্রথমে ভুক্তভোগী সেন্টু ৭লক্ষ টাকা এবং তার বন্ধু আবুল কাশেম ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু দ্বিগুন টাকা তো দূরের কথা মূল টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে তারা। টাকা ফেরত চাইলে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী আলি হোসেন সেন্টুর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব এবং পুলিশ কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গোলাম হোসেন ও বাবলু পালিয়ে গেলেও এবাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এবাদুলের ঘর তল্লাশী করে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত জাল ১৪ হাজার টাকা, ১টি প্লাস্টিকের মাঝারী কৌটা, ৩টি প্লাস্টিকের বোতল, ছোট কাঁচের শিশিসহ জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলী হোসেন সেন্টু বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা (নং-০৯) দায়ের করেছেন। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Comments are closed.