March 27, 2025, 5:42 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: 1linenewsagency@gmail.com
সাতক্ষীরায় খননের নামে প্রাণ সায়র খালকে ড্রেনে পরিণত করার অভিযোগ

সাতক্ষীরায় খননের নামে প্রাণ সায়র খালকে ড্রেনে পরিণত করার অভিযোগ

সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ হিসেবে পরিচিত প্রাণ সায়র খাল খননে পুকুর চুরির অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরার উন্নয়নে খালটি খননে দীর্ঘদিন পর বরাদ্দ আসলেও খননের নামে এটিকে সংকুচিত করে ড্রেনে পরিণত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এঘটনায় সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরাসহ সচেতন নাগরিক সমাজ ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে বেতনা নদীর সাথে সংযোগ স্থলে প্রাণ সায়র খাল খনন পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী খাল খননে অনিয়ম এবং খালটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, প্রাণ সায়র খালটি সাতক্ষীরা শহরের জন্য আশীর্বাদ। খালটির যথাযথ পরিচর্যা করতে পারলে সাতক্ষীরা শহরকে একটি পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত শহরে পরিণত করা যেত। অথচ খালটি খননের নামে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে।পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার সভাপতি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সহ-সভাপতি নিত্যানন্দ সরকার, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, দপ্তর সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন প্রমুখ।লাবসা ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গী গ্রামের সাবেক মেম্বর মনিরুজ্জামান, নজরুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ ও তাছলিমা খাতুন বলেন, ১৯৬২ সালের ম্যাপ অনুযায়ী সায়র খালের প্রস্থ (বেড়) ছিলো ৮০ থেকে ১৩০ ফুটের মত। অথচ স্ক্যাভেটর মেশিন দিয়ে খাল না কেটে উল্টো নরম মাটি (নেলকাদা) কেটে আবার তা খালের পাড়ে ফেলে খালকে ড্রেনে পরিণত করা হচ্ছে। খালের প্রস্থ (বেড়) করা হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ ফুট। আর খালের তলা করা হচ্ছে মাত্র ১০ ফুট। যা একটি ছোট ড্রেন ছাড়া আর কিছুই না। বর্তমানে খাল যে অবস্থায় রয়েছে এই অবস্থাতেই সাতক্ষীরা শহর সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। আর যদি এভাবে খাল বুজিয়ে ছোট ড্রেনে পরিণত করা হয় তাহলে সাতক্ষীরা আগামী বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাবে। সাতক্ষীরাবাসীর আর্শীবাদ প্রাণ সায়র খাল পরিণত হবে সাতক্ষীরাবাসীর জন্য অভিশাপে। ইতোমধ্যেই অনেক স্থানে পাড়ে তুলে দেওয়া কর্দমাক্ত মাটি আবারো ধ্বসে খালের মধ্যে গিয়ে পড়েছে। এছাড়া খাল খননের নামে খালের ধারের রাস্তাগুলো খুড়ে তার উপর নরম মাটি(কর্দমাক্ত) তুলে মানুষের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করা হচ্ছে। যা অনাবিক। এতে করে সেখানে বসবাসকারী শিশুদের চরম ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। এটি কোনো খাল কাটা হচ্ছে না, হচ্ছে মাছের ঘেরের আউটার ড্রেন।নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, খালটি যে অবস্থায় ছিলো, তাতো এর চেয়ে অনেক ভালো ছিলো। শুধু খালের নরম মাটি(কর্দমাক্ত মাটি) ও কচুরিপনাগুলো তুলে ফেললেই হতো। কিন্তু ৪ কোটি৪৬ লক্ষ ১ হাজার ৯২৪ টাকা বরাদ্দ নিয়ে সাড়ে ৬ কিলোমিটার খাল খননের নামে হরিলুট শুরু হয়েছে। এভাবে প্রাণ সায়রখালকে হত্যা করতে দেওয়া হবে না। সঠিকভাবে খাল খনন করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আ. বারী বলেন, খালকে ড্রেনে পরিণত করার বিষয়টি সঠিক নয়। সিডিউল অনুযায়ী খালটি খনন করা হচ্ছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, খাল খনন করতে গিয়ে রাস্তা নষ্টের বিষয়টি অফিসকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এস এম সাঈদুজ্জামান বলেন, সিডিউল অনুযায়ী খালটি খনন করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ভিত্তিহীন।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com