September 10, 2024, 10:33 am
সাতক্ষীরা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রওশন আরার বিরুদ্ধে সদস্যদের জন্য ও ছুটির দিনে ব্যক্তিগত কাজে ব্যাবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরাতে চাকরির সুবাদে অফিসটাকে নিজের স্বাধীনমত ব্যবহার করে আসছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, তিনি অফিসে আসেন ইচ্ছেমত। কখনও অফিস টাইম বা কখনও অফিস টাইমের পরে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যায় আবার কিছু সময় অফিসে অতিবাহিত করে অসুস্থতার ভান ধরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বাড়িতে চলে যায়।
শুধু তাই নয় রওশনারার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। একই জায়গায় দীর্ঘদিন সাতক্ষীরা জেলা পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকার সুবাদে সরকারের নির্দেশনার কোন তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়াতে থাকায় সচেতন মহলে প্রশ্ন একাধিক দুর্নীতি করার পরেও কিভাবে রওশনারা সাতক্ষীরাতে চাকরি করে উল্লেখ্য রওশনারার বিরুদ্ধে নানা ধরনের দূর্নীতির প্রতিবাদে স্বাস্থ্যকর্মীসহ এলাকাবাসি সস্প্রতি সাতক্ষীরাতে মানববন্ধনসহ প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, রওশনারার বড় মেয়ে ঢাকায় কোন একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তার মেয়েকে আনা নেয়ার জন্য সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা হয়। গত ১৫ ই জুলাই শুক্রবার ছুটির দিনে সাতক্ষীরা হইতে যশোর বিমানবন্দরে রওশনারা ও অফিসের পিওন তারক সহ চারজন সকাল ৮ টার সময় রওনা দেয়।
সেখানে রওশনারার বড় মেয়েকে বেলা ১ টার সময় বিমানে তুলে দিয়ে পুনরায় সাতক্ষীরায় ফিরে আসে যাহা সরকারি নিয়মনীতির বহির্ভূত। শুধু তাই নয় অফিসের সরকারি গাড়ি প্রতিনিয়ত এবং ছুটির দিনে ব্যক্তিগত কাজে ও পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যবহার করে সরকারি টাকায় তেল ক্রয় করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন করে এবং তেলের পাম্প হতে ৫০০ টাকার তেল ক্রয় করে ৭/১ হাজার টাকার বিল ভাউচার করে সরকারি কোষাগার হতে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। উক্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার রওশনারার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে, তিনি সাংবাদিককে বলেন আপনাকে যে তথ্য দিয়েছে সেটা সঠিক নয় ও আমি অসুস্থ আছি বৃহস্পতিবারে অফিসে যেয়ে ১ ঘন্টা অফিস করে বাড়ি চলে আসি। আপনি অফিসে এসে কথা বলেন তারপর বিস্তারিত বলব। সার্বিক বিষয়ে কথা হয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো: হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে। তিনি সংবাদ কর্মিকে বলেন উনার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আছে আমার কাছে দেন আমি এখনই ব্যবস্থা নেব ও সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই আর যদি তেল ক্রয়ের ভূয়া বিল ভাউচার করে টাকা আত্মসাৎ করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments are closed.