February 14, 2025, 4:44 am
খুলনার কয়রায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে আলাদা কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা বিএনপির দুটি পক্ষ। রোববার উপজেলা বিএনপির দুটি পক্ষ স্মৃতিসৌধে আলাদাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্য দেখা গেছে উত্তেজনা। রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হাসানের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীদের একাংশ উপজেলা পরিষদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কোহিনুর আলম, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম খোকন, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান, বাপ্পা, উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন, আছাদুল ইসলাম, ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাহমুদ অপর দিকে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন বাবুলের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপির আরেকটি পক্ষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য নাজমুল হুদা, কামরুল ইসলাম খান, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জি এম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহ, উপজেলা জাসাসের সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তহীদুর রহমান, শ্রমিক দলের নেতা গোলাম মোস্তফা। আলাদা কর্মসূচি নিয়ে জানতে চাইলে, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন বাবুল বলেন, ‘এম এ হাসানের সহযোগী মো. মনিরুজ্জামানের আপন ভাই কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান। ভাইয়ের কারণে বিএনপি নেতা এখন ওই এলাকার নিয়মিত সালিশ করছেন। তিনি দলের মধ্যে থেকেও আওয়ামী লীগের হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছেন। এ সবের প্রতিবাদ করায় মূলত তাঁরা আমাকে অপছন্দ করছেন।’ এ নিয়ে যুগ্ন-আহবায়ক এম এ হাছান বলেন, ‘দলের ভিতরে দীর্ঘদিন ধনে এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গড়ে উঠায় নেতা-কর্মীরা পরিবর্তন চাইছেন। এ ছাড়া যুগ্ম-আহ্বায়ক বাবুলকে অনেকেই পছন্দ করেন না। তাই আলাদা হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।’ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, ‘কয়রায় আলাদা কর্মসূচির বিষয়টি আমার জানা নেই। খুলনা ও খুলনা মহানগরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের দেওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলো পরিচালনার দায়িত্ব আমার উপর। তাই আমি এলাকায় থাকতে পারি না। আমি এলকায় থাকলে এরকম হতো না। আশাকরি ভাল সময় আসলে দলের ভিতর বিভক্তি থাকবে না।’ এ বিষয়ে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন ছাড়া এ সরকার পতনের কোনো সম্ভাবনা নেই। কয়রা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এলাকায় না থাকায় যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা শিগগিরই বিবদমান দুই পক্ষের সঙ্গে বসব। তখন সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।’
Comments are closed.