March 29, 2024, 7:32 am
আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোদন্ডা গ্রামে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে আবারো মাদকাসক্ত এক যুবক সুপেয় পানির সরকারি পাইপলাইন ভাঙচুর করেছে। গত কয়েকদিন ৫-৬ টি গ্রামের মানুষ এখন সুপেয় পানি সংকটে পড়েছে। এ ব্যাপারে দায়িত্বরত কেয়ারটেকার আনিসুর রহমান বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। জানা গেছে আশাশুনি সদর ইউনিয়নটি দীর্ঘদিন হাজার হাজার মানুষ খাবার পানির সংকটে পড়ে আছে। পানি সংকট নিরসনে উপজেলা প্রশাসন, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে কোদন্ডা গ্রামে একটি সুপেয় পানির প্লান স্থাপন করেন। ২০২১ সাল হতে অদ্যবদী বলাবাড়িয়া, গাইয়াখালি, কমলাপুর, শীতলপুর, হাড়িভাঙ্গা, কোদন্ডা, নাটানা সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানি সংকট থেকে মুক্তি পেয়েছে। এদিকে কোদন্ডা গ্রামের নিয়মত গাজীর ছেলে একিম গাজীও সুপেয় পানির প্লান স্থাপনের জন্য একটি আবেদন করেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে পানির প্লানটি উপজেলা কমিটি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। পরে ওই গ্রামের মৃত আহমাদ আলী গাজীর ছেলে আনিসুর রহমান গাজীর বাড়িতে পুনরায় পানির প্লানটি স্থাপন করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একিম গাজী গত তিন মাস আগে পাইপ ভাঙচুরের অপরাধে তাকে স্থানীয় প্রশাসন অর্থদণ্ডিত করেছে। সর্বশেষ গত ২৩ মে আবারো সুপেয় পানির পাইপ ভাঙচুর করে ছয় গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে পানির সংকটে ফেলেছে। এ ব্যাপারে সুপেয় পানি কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান বলেন, এই নিয়ে দু’বার সুপেয় পানির পাইপ ভাঙচুর করেছে একিম গাজী। প্রথমবার ভাঙচুরির অপরাধে ১২১৯ নং জিডি সহ জরিমানা করে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুনরায় আবারো সুপেয় পানির লাইন ভাঙচুর করেছে। সবমিলিয়ে পানির সংকটে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। উক্ত বিষয় অভিযুক্ত একিম গাজী বলেন, আনিস গাজীর যোগসাজসে আমার সুপেয় পানির প্লানটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে পাইপলাইন ভাঙচুরের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন।
Comments are closed.