April 19, 2024, 12:24 am
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার ও তার সহযোগী সুকুমার মৃধার বিপুল অর্থ পাচার করেছেন কলকাতায়। এই পাচারকারীর বিপুল অবৈধ সম্পত্তির খোঁজ পেয়ে কলকাতার ৯টি স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়েছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। জানা গেছে, হাওড়া দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ টাকা ভারতে নিয়ে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় সম্পত্তি কিনেছেন পিকে হালদার। পলাতক পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও মামাতো ভাই সুকুমার মৃধার জামাই সঞ্জীব হাওলাদার শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানান, প্রায় দু’বছর আগে শেষবার সুকুমার মৃধা অশোকনগরের এই বাড়িতে এসেছিলেন। তবে সুকুমার মৃধার জামাই হিসেবে সংবাদমাধ্যমের সামনে এদিন সমস্ত সম্পর্ক এড়িয়ে যান সঞ্জীব। তিনি সাফ সাফ জানান, আর পাঁচ জনের মতই অস্পষ্টভাবে বাংলাদেশ অর্থ পাচারের ঘটনা তিনি শুনেছিলেন। তবে স্পষ্টভাবে তিনি কিছু জানেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সঞ্জীব হাওলাদার নিজেও বাংলাদেশি নাগরিক। তিনি যে বাড়িতে থাকছিলেন সেটি মূলত পিকে হালদারের ভাই এনআরবি কা-ে অন্যতম অভিযুক্ত প্রীতিশ কুমার হালদারের। স্থানীয়দের কাছে তিনি প্রাণেশ হালদার নামে পরিচিত ছিলেন। এ ছাড়াও ইডি এদিন অশোকনগরের একই এলাকায় স্বপন মিত্র নামে আরেকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তিনিও পিকে হালদারের টাকা পাচারের অন্যতম হোতা। ইডি সূত্রে জানা যায়, তার বাড়িতে একাধিক নথি পাওয়া গেছে। এরপর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আটক করা হয়।
Comments are closed.