March 28, 2024, 1:39 pm
কলারোয়ার দুলাভাইয়ের ছোড়া আগুনে দগ্ধ ভ্যানচালক আব্দুল কাদের মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। ২৮ মে ভোর রাত ৩টার দিকে কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে আব্দুল কাদের এর ঘরের দরজায় বাইরে তালাবদ্ধ করে জানালা দিয়ে কে বা কারা পেট্রোল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হন আব্দুল কাদের (৩০), তার স্ত্রী শারমিন (২৪) ও শিশু কন্যা ফাতেমা (৪)। তাদের চিৎকারে আশপাশের ঘুমন্ত প্রতিবেশিরা উঠে এসে জানালার রড ও তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় কাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।স্থানীয়রা জানান, আহত কাদেরের সঙ্গে তার বোনের স্বামী বেনাপোলের সবুজ হোসেনের কয়েকদিন ধরে ঝামেলা চলছিলো। এমনকি মোবাইল ফোনে কাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো সবুজ। বিষয়টি কাদের সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানকেও অবহিত করেছিলেন। এনিয়ে একটি শালিস-বৈঠকের কথা ছিলো। ভুক্তভোগি পরিবার ও প্রতিবেশিরা ধারণা করছেন ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন দরজায় তালা মেরে জানালা দিয়ে পেট্রোল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজের সহযোগি কাঁদপুর গ্রামের মান্নান বিহারীর ছেলে সোহাগ হোসেন (২০) কে পুলিশ আটক করেছে। সোহাগ ও সবুজ পরষ্পর বন্ধু। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাইরাভাই ছিলো।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আব্দুল কাদের এর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান , এ ঘটনায় নিহত কাদের এর বোন সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সোহাগ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সবুজকে আটকের চেষ্টা চলছে।
Comments are closed.