April 19, 2024, 12:31 pm
সাতক্ষীরায় ঘের থেকে মাছ চুরির অভিযোগে পাঁচজনকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে তাদেরকে দু’হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। সোমবার (২৯ মার্চ) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচরক এস এম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, খুলনার পাইকগাছার নগর শ্রীপুর গ্রামের আবু বক্কর গাজীর ছেলে মিন্টু গাজী, একই গ্রামের আকের গাজীর ছেলে আজিজুল গাজী, শওকত সরদারের ছেলে টুকু সরদার, উত্তর শলুয়া গ্রামের মোকাম বিশ্বাসের ছেলে ফারুক বিশ্বাস ও গোদাকাটি গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে রামপদ বিশ্বাস। এদের মধ্যে টুকু সরদার পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামে মোস্তফা গাজীর একটি মাছের ঘের রয়েছে। গফফার গাজীসহ কয়েকজন ওই ঘেরের পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করতেন। ২০১০ সালের ২৭ মে দিবাগত রাত ২টায় মাছ চুরি করে পালানোর সময় আব্দুল গফফার গাজী মোবাইল ফোনে বিষয়টি পার্শ্ববর্তী রায়পুর গ্রামের প্রকাশ ডাক্তারকে জানান।
এসময় প্রকাশ ডাক্তারের ডাক-চিৎকারে চোরচক্রের সদস্যরা ঘেরের পানিতে ঝাপ দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। পরে মিন্টু গাজী, আজিজুল গাজী, ফারুক বিশ্বাস, রামপদ বিশ্বাস ও আবুল কালাম বিশ্বাসকে আটক করে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী। গণপিটুনিতে মারা যান আবুল কালাম বিশ্বাস। তবে টুকু সরদার ও জামারুল গাজীসহ তিনজন পালিয়ে যান।
মাছ চুরির ঘটনায় ২০১০ সালের ২৮ মে ঘেরের পাহারাদার আব্দুল গফফার বাদী হয়ে গ্রেফতার চারজনসহ টুকু সরদার ও জামারুল গাজীর নাম উল্লেখ করে তালা থানায় মামলা করেন। তালা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান ওই বছরের ২৮ আগস্ট এজাহারভুক্ত ছয়জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার ছয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও নথি পর্যালোচনা শেষে জামারুল গাজীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। অপর পাঁচ আসামিকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, দু’হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে প্রত্যেককে আরো তিন মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
Comments are closed.