April 19, 2024, 10:13 pm
গত ৫ মাস ধরে অফিস করেননা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল। অফিস থেকে কোন প্রকার ছুটি না নিয়েই তিনি কর্মস্থলে দিনের পর দিন অনুপস্থিতি রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ তাকে তিনবার কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোদকজ) করলেও তিনি উত্তর দেননি। একারণে তার বেতন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত সুপারিশ করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি। ফলে উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিসিয়াল কার্যক্রমে মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বর্তমানে তিনি প্রতিদিন সাতক্ষীরা শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু অসুস্থতার নাটক সাজিয়ে অফিস যাওয়া বন্ধ করেছেন প্রদীপ কুমার মন্ডল। শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের ডাক্তারকে ম্যানেজ করে ভূয়া একটি সার্টিফিকেট দিয়ে ছুটির জন্য আবেদন করেছেন তিনি। তবে তার আবেদন মঞ্জুর করেননি কর্তৃপক্ষ। এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রদীপ কুমার মন্ডল বলেন, আমাকে শোকজ করবে কেন? আমিতো ছুটিতে আছি। আমাকে কুকুরে কামড়ানোর কারণে আমি ছুটির জন্য আবেদন করেছি। এই কারণে আমি আর অফিসে যায়না। আবেদন করলেই কি ছুটি পাওয়া যায়, কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘আমাকে কেন ছুটি দেবেনা? আমাকে কুকুরে কামড়েছে। আবেদন করলে আমাকে ছুটি দিতে বাধ্য কর্তৃপক্ষ। শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিঞা বলেন, এখন পর্যন্ত তাকে তিনবার শোকজ করা হয়েছে। তিনি তার কোন জবাব দেননি। ফলে এ ব্যাপারে আমি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন লিখেছি। এছাড়া আমরা তার বেতন বন্ধ করে দিয়েছি এবং বিভাগীয় শাস্তির জন্য আমি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি।’ সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমী বলেন, প্রদীপ কুমার মন্ডল দীর্ঘদিন যাবত অফিস করেননা বলে আমি জেনেছি। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগীয় পরিচালক বরাবর তার শাস্তির জন্য লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.