April 19, 2024, 5:53 pm
কোভিড-১৯ করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির কারণে পূর্ণ লকডাউনে সারা দেশ। সরকার সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করেছে। অথচ সাতক্ষীরায় বিভিন্ন এনজিও অফিস খুলে কিস্তির টাকা আদায় করায় চরম বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা। কোভিড-১৯ করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির কারণে সংক্রমন প্রতিরোধ ও মানুষ বাঁচাতে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহ পূর্ণ লকডাউনে দেশের সব জেলায় জরুরী সেবা ছাড়া সব ধরণের দোকানপাট, দুরপাল্লা গণপরিবহন ও সরকারি বে-সরকারি অফিস বন্ধ রাখার ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহ পূর্ণ লকডাউনে সরকারি বে-সরকারি অফিস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও এনজিও কর্মীদের রোববার সকালে বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে কিস্তি টাকা আদায় করতে দেখা গেছে।
এনজিও গ্রাহকরা জানান, বেশিভাগ সাধারণ ব্যবসায়ী ও গৃহ দিনমজুর মানুষ ব্রাক, আশা, কারিতাস, আদ্-দ্বীন, জাগরণী, ঢাকা আহসানিয়া মিশন, ঋশিল্পী, ইসলামীসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছেন। তারা এসব এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সাধারণ ব্যবসা, পশু পালন ও মোটরযান কিনে জীবন জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি এনজিও কিস্তি পরিশোধ করেন। কিন্তু সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহ পূর্ণ লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট, দুরপাল্লা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মহীন সাধারণ ব্যক্তিদের আয়ের উৎস এক প্রকার বন্ধ। কর্মহীনরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এনজিও কিস্তি দিতে কর্মহীনরা চরম বিপাকে পড়েছে। লকডাউনে আয় না থাকায় গ্রাহকরা কিস্তির টাকা দিতে এনিজওকর্মীদের কাছে অপরাগতা জানালে গ্রাহকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক কিস্তি টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। সাতক্ষীরার এডিসি জেনারেল জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এনজিও গ্রাহকরা।
Comments are closed.