April 20, 2024, 4:11 am
তালার বারুইহাটি গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা কৃষক মো. কামরুল ইসলাম আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে লাল শাক চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন। সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নও দেখছেন তিনি। কামরুল ইসলাম চলতি মৌসুমে ১৮ শতক জমিতে লাল শাক চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লালশাক বিক্রি করে বেশ লাভবান হবেন বলে জানান আধুনিক এই সফল কৃষক। তিনি পাঁচ হাজার টাকা ব্যায় করে এই জমিতে লালশাক এর চাষ করেছেন। বর্তমান বাজার দর স্বাভাবিক থাকলে ত্রিশ হাজার টাকার লালশাক বিক্রি হবে বলে আশাবাদী তিনি। তালা উপজেলা বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে লালশাক সবুজের বুকে রাঙ্গা বধুর লাজুক হাসি। লালশাকের লাল রঙ্গে প্রকৃতির মাঝে শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি নয়নাভিরাম সৌন্দর্য মনোরম দৃশ্য দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। তালা উপজেলার কৃষকরা এসিআই জাতের লালশাক চাষ করেছেন এবছর কৃষকদের ফসলের চাষ খুব ভালো হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এ মৌসুমে লালশাক এ পোকার আক্রমণ ক্রমাগত কম মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে লালশাকের। তালা উপজেলার লালশাক উপজেলা চাহিদা মিটিয়ে এখন রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুলনা টাকাসহ বিভাগীয় শহরে। এই এলাকার বেলে দোআঁশ মাটিতে চাষকৃত লালশাক সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে চাহিদা আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে তালার লালশাক। তালা উপজেলা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে খুচরা বাজারে লালশাক প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কথা হলো খুচরা বিক্রেতা আব্দুল খালেক এর সাথে। খুচরা বিক্রেতা আব্দুল খালেক জানান তিনি পাইকারী বাজার থেকে ২৫ টাকা দরে লালশাক ক্রয় করে তিনি ত্রিশ টাকা বিক্রি করেন। বাজারে লালশাকের চাহিদা প্রচুর। বাজারে চাহিদা থাকায় এবং ফসল উপযোগী আবহাওয়া থাকার কৃষকদের লালশাক চাষে চাহিদা প্রচুর পরিমাণে দেখা গেছে। তালা উপজেলার বারোটি ইউনিয়নের মধ্যে অধিকাংশ ইউনিয়নের কৃষক লালশাক চাষ করতে দেখা গেছে। কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে লালশাক অল্পদিনের ফসল যেকোনো দুই ফসলের মাঝে কয়েকদিনের মাঝে লালশাক উৎসব হয়। কত খরচে অধিক লাভজনক ফসল এটি তাই সকলে এই লালশাক চাষ করেন পারিবারের চাহিদা পূরণ করে বাজারে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা পাওয়া যায় এই ফসলে। তাছাড়া যেকোন সময়ে বাজারে লালশাকের চাহিদা থাকে বিক্রি করতে সময় লাগেনা সহজ উপায়ে কম খরচে একটি ফসল চাষ করে অতিরিক্ত টাকা কিছু টাকা ইনকাম করা যায়। তাতে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে লালশাক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
কৃষক মো. কামরুল ইসলাম জানান তিনি নিজের জমিতে মুখী কচুর পর লালশাক চাষ করেছে এবং লালশাক উঠার পর ওলকপি চাষ করবেন।এখন তিনি পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে লালশাকের চাষ করেছেন বাজার দর স্বাভাবিক থাকলে তিনি ত্রিশ হাজার টাকার লালশাক বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান।
Comments are closed.