April 23, 2024, 5:36 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
খুলনায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার তালায় ৬০ বছর পর ৩৩ বিঘা সরকারি জমি উদ্ধার সাতক্ষীরায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় পাইকগাছায় শেখ হাসিনা প্রদত্ত খাবার পানি সংরক্ষণের জলাধার বিতরণ হঠাৎ এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদের মাটি ও মানুষ সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর মোটরসাইকেল বহরে বোমা হামলা প্রাণ প্রাণসায়ের খালের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু সাতক্ষীরায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশলা সাতক্ষীরায় বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভালপমেন্ট ফোরামের মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ
শ্যামনগরের শচীন্দ্রনাথ মন্ডলের ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড স্ত্রীকে ভারতে পাচার

শ্যামনগরের শচীন্দ্রনাথ মন্ডলের ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড স্ত্রীকে ভারতে পাচার

স্ত্রীকে ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাচারের পরে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তির ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিল (৫২)। সে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনাখালি গ্রামের কিশোরী মোহন মন্ডলের ছেলে। মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৯ সালের মার্চ মাসে শ্যামনগরের চুনাখালি গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ধর্মান্তরিত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার খড়িতলা গ্রামের আরশাদ আলী শেখের মেয়ে আফরোজা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শচীন্দ্রনাথ মন্ডলের নাম হয় ইব্রাহীম খলিল। ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্থানীয় সুশান্ত মণ্ডল বাচ্চু, সুশীত ওরফে বড়চুন্নু, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ ও নিমাই বাগদীর সহযোগিতায় ওই বছরের ৩০ মে রাত সাড়ে সাতটার দিকে ইছামতী নদী পার করে আফরোজাকে ভারতে নিয়ে যায়। পরে তাকে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে চলে যায় সে। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শচীন্দ্রনাথ মন্ডলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আফরোজা কালিগঞ্জ থানায় একটি মানবপাচারের মামলা (জিআর-১৭১-০৯ কালি:)দায়ের করেন। পুলিশ সকল আসামীকে গ্রেপ্তার করলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লস্কর জায়াদুল হক এজাহারভুক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা নিমাই বাগদীকে পুলিশ ২০২২ সালের ডিসম্বের মাসে গ্রেপ্তার করে। মামলার ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামী শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিলের বিরুদ্ধে আফরোজাকে ভারতে পাচারের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মানবপাচার আইনের ৫(১) ধারায় ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাঠগোড়ায় থাকা নিমাই বাগদীসহ অপর পলাতক চার আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। পলাতক আসামীদের পক্ষে সহায়তা করেন (স্টেট ডিফেন্স) লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাড. বসির আহম্মেদ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবু।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com