April 25, 2024, 11:25 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
দেবহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুছার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ কলারোয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মো. মস্তাফিজুর রহমানের বিদায় সংবর্ধনা যশোরে নিয়ে সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটার সাবেক স্ত্রীকে হত্যা-আটক স্বামী বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা :সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেল চালক নিহত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ড্রেজার মেশিন জব্দ প্রতিবন্ধী নারীর যাতায়াতের রাস্তা আটকানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাতক্ষীরায় সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস পুনরায় চালুর লক্ষ্যে পরিদর্শন করলেন এম.পি আশরাফুজ্জামান আশু ইয়ামালে ২০০ মিলিয়নের টোপ পিএসজির মদ্যপ ছিলেন শিবা শানু, মারামারিতে নেতৃত্ব দেন জয় চৌধুরী
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের ছড়াছড়ি

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের ছড়াছড়ি

এসএম আশরাফুল ইসলাম: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের বিধি নিষেধ অমান্য করে অফিশিয়াল সময়ে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা ডাক্তারের চেম্বারে ভিড় জমিয়ে রাখছেন। সরকারি অফিস সময়ে বেশির ভাগ কর্তব্যরত চিকিৎসকদের চেম্বার বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দখলে থাকায় চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশী সাধারণ রোগীদের ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে অপেক্ষায় থাকতে হয়। অনাকাঙ্খিত এই ভিড়ের কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা মারাত্মক বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চেয়ে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় অনেক বেশি।

হাসপাতালের কড়িডোর, কর্তব্যরত চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড়। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (২১০ নং রুমে) ডা: সুব্রত রায় চেম্বারে রোগী দেখেন। চেম্বারের সামনে দেখা যায় অনেক রোগী দাঁড়িয়ে আছেন।

বৃদ্ধ ও মুমূর্ষ রোগীরা দাঁড়াতে না পেরে কেউ কেউ মেঝেতে বসে পড়েছেন। ডাক্তার সুব্রত রায়ের অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা একের পর এক চেম্বারে ভিজিট করে যাচ্ছেন। ডাক্তার সুব্রত রায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে গ্রহণ করছেন বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও উপহার সামগ্রী।

রোগীদের জায়গা দখল করে রাখেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তারা দাঁড়িয়ে থাকেন। হাসাপালের কর্মচারিরা রোগীদের ভিড় সামলা। ভিড়ে বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলা রোগীরা রীতিমতো নাকাল হয়। বৃদ্ধ মুমূর্ষ বয়স্ক রোগীদের মেঝেয় বসে থাকতে দেখা যায় প্রতিদিনই। তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে দরোজায় দাঁড়িয়ে থাকা হাসপাতালের কর্মচারীরা।

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কেউ ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র নিয়ে বের হলেই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ছোঁ-মেরে প্রেসক্রিপশন নিয়ে যান। চলে ফটোসেশন। প্রেসক্রিপশনে কি কি ওষুধ দিয়েছে, তাতে নিজ কোম্পানির প্রোডাক্ট আছে কিনা তার প্রমাণ পেতে রীতিমতো প্রতিনিধিদের কাড়াকাড়ি লেগে যায়। এতে উটকো বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন কর্মচারি জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে বহির্বিভাগ খোলা থাকা পর্যন্ত রিপ্রেজেন্টেটিভদের ভিড় লেগে থাকে। ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা বেরিয়ে এলেই প্রেসক্রিপশন দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন কোম্পানির প্রতিনিধিরা।

প্রতিদিন সকাল ১০টার সময় থেকে ডাক্তারের চেম্বারে ভিজিট শুরু করে রিপ্রেজেন্টেটিভরা। নিয়মানুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রিপ্রেজেনটেটিভদের হাসপাতালে প্রবেশ নিষেধ থাকলেও তারা নিয়ম অমান্য করে সকাল থেকেই প্রতিদিন হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে ছবি তুলতে শুরু করে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com