April 20, 2024, 7:13 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা তালায় পানি নিষ্কাশন এর খাল বন্ধ করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ কলারোয়ায় তৃতীয় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা শ্যামনগরে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে শ্যামনগরে ধর্মঘট পাঁচ বছরেও চালু হয়নি সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও স্থানীয় সুধী সমাজের সাথে জনসচেতনতা মূলক মতবিনিময় সাতক্ষীরায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন সাতক্ষীরায় বিআরটিএ উদ্যোগে পেশাজীবী গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে টাকা জমা দিলেন রাজ
সিরিজ বোমা হামলা : সাতক্ষীরায় ৮ জঙ্গির ১৩ বছরের কারাদণ্ড

সিরিজ বোমা হামলা : সাতক্ষীরায় ৮ জঙ্গির ১৩ বছরের কারাদণ্ড

সাতক্ষীরায় সিরিজ বোমা হামলা মামলায় ৮ জঙ্গিকে ১৩ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে বাকি ১০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মামলায় একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিরা হলেন- মনিরুজ্জামান মুন্না, বিল্লাল হোসেন, মো. গিয়াস উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিটন, শামীম হোসেন গালিব, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আনিসুর রহমান খোকন ও মিন্টু । সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফকর উদ্দিন আল রাজি, নাইম ও খায়ের পলাতক রয়েছেন।

২০০৫ সালে সাতক্ষীরার ৫টি স্থানে সিরিজ বোমার প্রতিটি মামলায় ১৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতরা কারাগারে, অন্যান্যরা জামিনে এবং পলাতক রয়েছে। ২০০৫ এর ১৭ই আগস্ট শহরের শহীদ রাজ্জাক পার্ক, জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও খুলনা মোড়সহ পাঁচটি স্থানে একযোগে এই বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর ঘটনা ঘটে।

২০০৭ সালে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদের দায়েরকৃত মামলায় আগের মামলার আসামিসহ আরো ৪ জনের নামে চার্জশীট দাখিল করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে নাসিরুদ্দিন দফাদার নামে একজন ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর মস্তিস্কের রক্ষক্ষরণজনিত কারণে সাতক্ষীরা কারাগারে মারা যান। আসামিরা দেশের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থান করায় মামলার রায় হতে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর লেগে যায়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়।

এই সূত্র ধরে ভারতীয় নাগরিক গিয়াসউদ্দিনসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ঢাকায় জেআইসিতে (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) এ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছাড়াও জেএমবির বহু গোপন তথ্য জানান তারা। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় সাতক্ষীরায়।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com