April 23, 2024, 8:16 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
প্রাণ প্রাণসায়ের খালের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু সাতক্ষীরায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশলা সাতক্ষীরায় বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভালপমেন্ট ফোরামের মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাপা মনোনীত প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু’র নির্বাচনী মতবিনিময় সভা সাতক্ষীরায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কর্যক্রমের উদ্বোধন মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫ সাংবাদিক সাকসেস পার্টিতে এলেন সাবেক প্রেমিকা, জড়িয়ে ধরলেন সৃজিত হাইকোর্টে আবারও মিন্নির জামিন আবেদন দাবদাহের খবর পড়ার সময় গরমে অজ্ঞান সংবাদ পাঠিকা ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের দখলে যে গীতিকবির সর্বাধিক গান
হঠাৎ বৃষ্টিতে কলারোয়ার কৃষকদের কপালে স্বস্তির ছাঁপ

হঠাৎ বৃষ্টিতে কলারোয়ার কৃষকদের কপালে স্বস্তির ছাঁপ

কলারোয়ার অধিকাংশ গ্রামে গত কয়দিন আগেও বোরিং এর লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় ধানের জমিতে সেচ দিতে যেয়ে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। ঠিক এমনি সময় রহমতের বৃষ্টি নামার পর উপজেলার মাঠে মাঠে এখন ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যা ও সার ও কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এমনি একজন কৃষাণী যিনি কৃষিতে স্বর্ণ পদক পেয়ে এক ব্যতিক্রমধর্মী নারী উদ্যোক্তা ও জনপ্রতিনিধি দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য কৃষাণী আকলিমা খাতুন নিজের জমিতে ধান পরিচর্যা করতে দেখা গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইরি-বোরো ক্ষেতে সময় দিচ্ছেন তারা। এ অঞ্চলে এ বছর আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বলে জানাগেছে। এখন মাঠের পর মাঠ যে দিকে চোখ যায়, সে দিকে দেখা যাচ্ছে কচি সবুজ, দেখা যাচ্ছে মাঠে সবুজের সমারোহ। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়- কৃষকেরা কেউ সার-কীটনাশক প্রয়োগ করছেন, কেউবা আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার জমিতে পানি সেচের কাজে ব্যস্ত। এই দৃশ্য দেখে মনে হলো, কৃষকদের কাঙ্খিত ফসল ভালোভাবে ফলাতে দম ফেলানোর সময় নেই তাদের। ঐ সকল অঞ্চলের সফল চাষী ওজিয়ার রহমান বলেন- আমি প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করেছি। ধানের জমি থেকে আগাছা পরিস্কার করা শেষ হয়েছে। এখন ধান ক্ষেতে সার প্রয়োগ করছি। চারা গাছের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবার ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। তবে পোকার আক্রমন বেশি দেখা যাচ্ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচের পানি কম উঠছিল। কিন্তু দুইদিনের বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্থির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তারপরেও ভালো ফলন হবে ইনশাল্লাহ। এ দিকে সোনাবাড়ীয়া গ্রামের আ: করিম বলেন, মাঠে কিছু কিছু জমিতে আগে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন চারার আগাছা পরিষ্কার শেষ করে সার প্রয়োগের কাজ চলছে। তিনি বলেন, আমাদের এই সোনালী ফসল ঘরে তুলার আগ পর্যন্ত ব্যস্ততা থাকবে। কৃষাণী আকলিমা খাতুন বলেন আমরা সাধারণত কৃষির ওপর নির্ভরশীল, তাই এই ইরি-বোরো আবাদের পুরো সময় আমাদের ভালো ফলনের আশায় পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকতে হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেন মিয়া জানিয়েছেন, এ বছর কলারোয়া উপজেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে কলারোয়ায় বেশি ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধান জমিতে রোপন করেছেন কৃষকরা। এজন্য ভালো ফলনসহ লক্ষ্যমাত্রা র্নিধারণ হবে এটায় আশা করছি।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com