October 22, 2024, 2:00 pm
চোরের মতো লুকিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া হলো না দেবেন্দ্র নাথ গাইন ও হায়দার আলীর। সব আয়োজন সম্পন্ন করেও গোপনে পরীক্ষা দিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে গেছে তারা। শুক্রবার সকাল ৯টায় সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গা আর কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষার আয়োজন করেছিলেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৮জন আবেদন করেন। আবেদনকারীদের ৫জনকেই এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে নিষেধ করেছিলেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাতানো নিয়োগ পরীক্ষায় ২জনকে প্রক্সি দেওয়ার জন্য আনা হয়। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে মোট তিনজন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হলে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা তিন জনই পালিয়ে যান। ফলে পাতানো নিযোগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হলো না দেবেন্দ্র নাথ গাইন ও হায়দার আলীর। ফলে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে নিয়োগবোর্ড। হায়দার আলি ছিলেন অফিস সহায়ক/নিরাপত্তা কর্মী পদের প্রার্থী। আগেই এ দুটি পদে নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগে বলা হয়, সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২০ এপ্রিল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। অফিস সহায়ক/নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের জন্য ২৯ অক্টোবর তারিখে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৮ জন এবং অফিস সহায়ক/নিরাপত্তা কর্মী পদে ৬জন আবেদন করেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনকারী দেবেন্দ্র নাথ গাইন প্যাটার্ন বহির্ভূত এমপিওভুক্ত শিক্ষক। কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি অভিজ্ঞতার সনদ দাখিল করেননি। তাকে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক কোন অভিজ্ঞতার সনদ প্রদান করেননি। এছাড়া অফিস সহায়ক/নিরাপত্তা কর্মী পদে আবেদনকারী খেজুরডাঙ্গা গ্রামের মৃত রেজাউল ইসলামের ছেলে হায়দার আলীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র প্রশ্নবিদ্ধ। বিদ্যালয়টি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম।
সভাপতি ইতোমধ্যে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে উক্ত দু’জনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তরে এ অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
Comments are closed.