April 27, 2024, 4:41 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
৭ নভেম্বরের বিশ্বাসঘাতকতা দিয়েই জিয়ার উত্থান

৭ নভেম্বরের বিশ্বাসঘাতকতা দিয়েই জিয়ার উত্থান

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার একটি দিন হল ৭ নভেম্বর। ৭ নভেম্বরের এই দিনটিকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কলঙ্কিত দিনও ভাবা হয়ে থাকে। কারণ ইতিহাসে এই দিনটি না আসলে হয়তো ভিন্ন রকমভাবেই লেখা হতো বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস। তবে ইতিহাসে অনেক কিছুই ঘটে। ইতিহাস যেন ঘটনঅঘটন পটীয়সী। ইতিহাসে যেমন নায়ন থাকে, তেমনি খলনায়কও থাকে। আর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর এই সবগুলো ঘটনার খলনায়ক মূলত একজনই; আর তিনি হলেন জিয়াউর রহমান। ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান শুধু কর্নেল তাহেরের সাথে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি; সেদিন জিয়াউর রহমান বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে। সেদিন জিয়াউর রহমান বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে।

৭ নভেম্বর প্রকাশ্যে হত্যার শিকার হন ২ জন সেক্টর কমান্ডার ও ১ জন সাব সেক্টর কমান্ডার। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাধীন দেশে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন আরেকজন সেক্টর কমান্ডার। স্বাধীনতা যুদ্ধেও কোনও সেক্টর কমান্ডারকে সরাসরি কোন যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ হতে হয়নি। হত্যার নৃশংস ভয়াবহতা ৭ নভেম্বরকে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ে পরিণত করেছে। ১৫ অগাস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ৩ নভেম্বর জেলে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড, ৭ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সশস্ত্র বাহিনীতে হাজার হাজার সৈনিক হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি সকল ঘটনাই যেন একসূত্রে গাঁথা। আর এই তিনটি ঘটনাই লাভবান হয়েছিল জিয়াউর রহমান। আর এসবের সব কিছুতে জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন- এটা এখন সর্বজন বিদিত।

৭ নভেম্বরকে একটি অংশ ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করতে চান। এরা মূলত জিয়াউর রহমান ও তার দল বিএনপি এবং কয়েকটি ধর্মীয় উগ্র সাম্প্রদায়িক দল। তাদের বক্তব্য, ৭ নভেম্বরের জন্যই জিয়াউর রহমানের হাত ধরে তাদের আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশ নেয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়া জিয়াউর রহমানের দল বলার চেষ্টা করে, সেদিন সিপাহী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সাধারণ সিপাহীরা বন্দিদশা থেকে জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্ত করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নিরাপদ করেছেন।

কিন্তু বাস্তবতা হল, জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরের সরলতা ও দেশপ্রেমের সুযোগ নিয়ে ৭ নভেম্বর তাকে ব্যবহার করে নিজে উদ্ধার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাহেরের উপর সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ এনে সামরিক আদালতের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আর এভাবেই জিয়া তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে দেশের শাসন ক্ষমতা করায়ত্ত করেছিলেন। তাই সহজেই বলা যায়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানের উত্থানের পেছনে ছিল ৭ নভেম্বরে কর্নেল তাহেরের সাথে তার বিশ্বাসঘাতকতা। অবশ্য এই বিশ্বাসঘাতকতা শুধু তাহেরের সঙ্গে ছিল না, এই বিশ্বাসঘাতকতা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com