May 1, 2024, 10:10 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৪ ডিগ্রি জেলা মটরসাইকেল চালক এসোসিয়েশনের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত জেলা নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন ও রং পালিশ শ্রমিক ইউনিয়নে মে দিবস পালিত হোটেল রেস্তোরা, বেকারি ও হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত ফার্নিচার ও রং শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত মহান মে দিবসে জেলা শ্রমিক দলের র‌্যালি ও আলোচনা সভা সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বর্ণকার শ্রমিক ইউনয়নের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত ট্রাক, ট্যাংলরী, ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত সাতক্ষীরা জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মৎস্য শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের মে দিবস পালিত
কথিত পীরের বিরুদ্ধে নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ

কথিত পীরের বিরুদ্ধে নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ

গাজীপুরের কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় কথিত পীর কর্তৃক নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা দায়ের করার পর পীরের সহযোগী সাগর আলীকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত কথিত পীর মাসুদ মিয়া (৫০) এখনো পলাতক রয়েছেন। এ খবর নিশ্চিত করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানা পুলিশ। জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত সাগর গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি আমবাগ মিতালী ক্লাব উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৭-এর আমবাগ অফিসের নৈশ্যপ্রহরী (চৌকিদার) হিসেবে চাকরি করেন। অভিযুক্ত পীর মাসুদ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার সাফর্তা গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকার মাসুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি পীর পরিচয়ে ও তার সহযোগী সাগর বিভিন্ন ধরনের ঝাড়ফুঁক দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে মানুষকে তালিমও দেন। ওই পীরের কাছে তালিম নেওয়ার জন্য যান স্থানীয় এক নারী। গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পীরের সহযোগী সাগর ওই নারীকে তালিম নেওয়ার জন্য তার বাসায় ডাকেন। পরে খবর পেয়ে ওই দুই সন্তানকে বাসায় রেখে তার স্বামীকে নিয়ে ভিকটিম নারী সহযোগী সাগরের বাসায় যান। যাওয়ার পর থেকেই ভিন্ন ধরনের হাদিসের বাণীসহ পীরের সবক শুনাতে থাকেন। পরে রাত ১১টার দিকে পীর মাসুদের সহযোগী সাগর ওই ভিকটিম নারীকে একটি পান খেতে দেন এবং তার স্বামীকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠান। পান খাওয়ার পর ভিকটিম ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় পীরের সহযোগী সাগর মিতালী ক্লাব এলাকায় তার নিজ বাড়ির উত্তর দুয়ারী আধপাকা ঘরের চৌকিতে নিয়ে ভিকটিম নারীকে শুয়ে রাখেন পীর বাবার জন্য। কিছুক্ষণ পর পীর বাবা গিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করতে থাকেন। ভিকটিম নারীর স্বামী দোকান থেকে ফিরে বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার করতে শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সময় সহযোগী সাগর ভিকটিমের স্বামীকে চুপ থাকতে বলে পীর মাসুদকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ওসি আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর পীরের সহযোগী সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পীর পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। বুধবার গ্রেফতারকৃত সাগরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com