May 20, 2024, 10:40 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনে তথাকথিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা এ অভিযোগ তুলেছে। এবার ইসরায়েলের পরীক্ষিত বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে তারা। সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট ব্যাপকভাবে নিষ্ঠুর কাজের সঙ্গে জড়িত। খবর বিবিসির।

এ ব্যাপারে কিছুটা ধারণাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, এসব চলমান গাজা যুদ্ধের আগে ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে ঘটেছে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে সমর্থন ও সহায়তা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী চারটি সেনা ইউনিটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল। তাদের সংশোধন করা হচ্ছে। বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদামতো ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দিয়েছে ইসরায়েল। তাই ব্যাপারটি সহায়তা বন্ধ করার মতো বড় বিষয় মনে করা হচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলের আজকের অবস্থানের পেছনে আছে যুক্তরাষ্ট্র। শুরু থেকে তাদের সব ধরনের সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পায় ইসরায়েল। এ ছাড়া কারিগরি ও কূটনৈতিক সমর্থনও পাচ্ছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ আইন রয়েছে। আইন অনুযায়ী, মার্কিন সহায়তা পাওয়া কোনো ভিনদেশি সেনা ইউনিট ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে সেই ইউনিট সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা হারায়। ওই আইনে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং ধর্ষণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সত্যতা পাওয়ার পরও সামরিক সহায়তা বন্ধ না করায় প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পঞ্চম যে ইউনিটটির কথা বলা হচ্ছে সেটি নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন। ১৯৯৯ সালে শুধু পুরুষ সেনাদের নিয়ে এ ইউনিট গঠন করা হয়েছিল। আল্ট্রা–অর্থোডক্স ইহুদিরা এ ইউনিটের সদস্য। স্বভাবতই ইউনিটটি উগ্র হিসেবে বিবেচিত।

অথচ যুক্তরাষ্ট্র ‘অতিরিক্ত তথ্য’ পেয়েছে বলে ইউনিটটির ব্যাপারে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ পিছিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েলের সংশোধনমূলক ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট হয়ে ওপর চারটি ইউনিটকে সহায়তা বন্ধ করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না তা স্পষ্ট করেনি যুক্তরাষ্ট্র।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com