April 27, 2024, 11:37 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
শিরোনাম:
জুম্মার নামাজে মুসল্লিদের দোয়া চাইলেন মশিউর রহমান বাবু সাতক্ষীরায় অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পৃথক বার্ন ইউনিট না থাকায় জরুরী সেবা ঝুঁকিতে এসিড দগ্ধ ও পোড়া রুগীরা দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নতুন মুখ প্রভাষক সুশান্ত কুমার মন্ডল আশাশুনীতে বাপ্পী সীড হাউজ দোকান উদ্বোধন দক্ষিণ খুলনার অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার ওজিয়ার গ্রেফতার সাতক্ষীরায় টিটিসিতে ৭৫ দিন মেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের মতবিনিময় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সামেক হাসপাতালের পরিচালকের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

সামেক হাসপাতালের পরিচালকের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

হাসান ইমাম: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: শীতল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঔষধ ক্রয়ের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা ভূমিহীন সমিতি। জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে রোববার (১০ মার্চ) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মো. কওছার আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, বাবলু হাসান, নারীনেত্রী নদী প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, হাসপাতালের পরিচালক ডা: শীতল চৌধুরী সপ্তাহে মাত্র দুই দিন অফিস করেন। ঠিকমত অফিসে আসেন না। অথচ সরকারি আইন অনুযায়ী কোন সরকারি কর্মকর্তা বিনা ছুটিতে কর্মস্থল ছাড়তে পারবেন না। সে আইন তিনি মানেন না। পরিচালক ডা: শীতল চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচালক ডা: অজয় কুমার এবং ল্যাব ইনচার্জ সুব্রত কুমার দাস সিন্ডিকেট করে হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সাথে যোগসাজস করে লুটপাট চালাচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালের স্টাফদের বেতন ছাড়াতে গেলেও টাকা দিতে হয়। ফলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
বক্তারা আরো বলেন, পরিচালকের অনিয়মের কারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে নাজুক হয়ে পড়েছে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, দুর্গন্ধে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্যাথলজিস্ট সুব্রত কুমারের সহযোগিতায় হাসপাতালে রয়েছে বড় একটি সিন্ডিকেট। এছাড়া হাসপাতালের রোগীদের খাদ্যে বড়ধরনের অনিয়ম করেছে ঠিকাদারসহ তার সহযোগীরা। খাদ্যের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। গরুর মাংসের পরিবর্তে পোল্ট্রি, রুই মাছের পরিবর্তে তেলাপিয়া তাও আবার ছোট একটুকরো সরবরাহ করা হয়। মেডিকেলের ল্যাব, এক্সরে বিভাগ এবং কেবিন ভাড়া থেকে প্রতি সপ্তাহে মোটা অংকের টাকা পরিচালকের হাতে তুলে দিতে হয়। তা না দিলে বিভাগ পরিবর্তন করে দেওয়ার হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করেন ডা: শীতল চৌধুরী।

এছাড়া হাসপাতালের ঔষধ কেনার জন্য বরাদ্দ হওয়া ৭ কোটি টাকার কোন ঔষধ না কিনে পুরো টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন। এদিকে, গত ৭ মার্চ মেডিকেল হাসপাতালের অডিট কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ঢাকা থেকে আগত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রায় ৪দিন ধরে অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।

বক্তারা আরো বলেন, ঔষধ বিক্রির ৭ কোটি টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে দুর্নীতিবাজ শীতল চৌধুরী ওই কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে সুন্দরবন ভ্রমনসহ জেলার নামীদামী হোটেলে ভুড়িভোজের মত আপ্যায়ন অব্যাহত রেখেছেন। বক্তারা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com