March 16, 2025, 12:03 am
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃঝিনাইদহের শৈলকুপায় আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে বৃহৎ পোল্ট্রী ফার্ম। আরএই ফার্মের বর্জ্য ও দুর্গন্ধে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। কিন্তুঅভিযোগ দিয়েও মিলছে না প্রতিকার। অভিযোগ উঠেছে ফার্মের মালিকগনপ্রভাবশালী হওয়ায় ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে সকল অভিযোগ। এছাড়া দখল করা হয়েছে পানিউন্নয়ন বোর্ডের কেনেলের জায়গাও। সরেজমিনে দেখা গেছে ,শৈলকুপা পৌরসভার ৭ নংওয়ার্ডের হাবিবপুর গ্রামে রয়েছে এক চিলতে সবুজ মাঠ। আর এই ঘনবসতিগ্রামটির মাঠেই জননী পোলট্রি ফার্ম নামে ৬ বছর আগে গড়ে তোলা বৃহৎ আকারেরবানিজ্যিক পোল্ট্রী ফার্ম। ৮টি শেডের এই ফার্মে লেয়ার (ডিম), বাচ্চা ও মুরগীরবানিজ্যিক চাষ করা হয়। তবে গ্রামবাসীর অভিযোগ জাতীয় পোলট্রী উন্নয়ননীতিমালা-২০০৮ না মেনেই চলছে ফার্মের কার্যক্রম। নেই পানি নিষ্কাষন আর বর্জ্যঅপসরণের ব্যবস্থা। হাবিবপুর গ্রামের কৃষক বাবলু মিয়া জানান, বাতাস এলেই দুর্গন্ধচারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, এতে ঘরে-বাড়িতে বসত করা দায় হয়ে পড়ে। গ্রামের অপর কৃষকলিয়াকত হোসেন জানান, কৃষি জমিতে যেতে পারেন না দুর্গন্ধের কারণে। গৃহবধুসোহাগী খাতুন জানান, মাছির কারণে ঘরে রান্নার কাজ করা যায় না। অসুস্থ হয়েপড়ছে শিশুরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ ইউএনও, ডিসি সহ বিভিন্ন দপ্তরে একের পর একলিখিত অভিযোগ দিয়েও পাচ্ছে না কোন প্রতিকার। তারা বাড়ি-ঘরে বসত করতে পারছেনা মাছির উৎপাত আর দুর্গন্ধে। যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে এসব বানিজ্যিকফার্মের দুষিত বর্জ্য, মরা মুরগী। সমস্যায় পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। আর গন্ধে কৃষকেরাআবাদ করতে পারছে না ফার্ম এলাকার কৃষি জমিও। হাবিবপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিন,আব্দুল লতিফ সহ এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ এই বৃহৎ জননী পোলট্রি ফার্ম নিয়ে।এদিকে অভিযোগ ওঠা ফার্মের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়নবোর্ডের এ অঞ্চলের দায়িত্বরত সেকশন অফিসার বিকর্ণ। তিনি জানান কেনেলের জায়গাদখল করে স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে, কাটা হয়েছে পুকুর। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরেরঅনুমতি পত্র না থাকার কথা স্বীকার করে ফার্মের মালিক শিক্ষক নবীনুর রহমান বলছেনগ্রামের পাশে মাঠে এটি নির্মিত হয়েছে ফার্মটি। আর এলাকাবাসী অভিযোগদেয়ায় বর্জ্য ব্যবস্থা আধুনিক করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনিদাবি করেন। আর প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের শৈলকুপার কর্মকর্তারা নিজেরাই বলতেপারেননি কি কি শর্ত পুরণ করে রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি নিতে হয়। উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারী ফিল্ড অফিসার শফিকুল ইসলাম বলছেন, ফর্মে তথ্যাদি দেয়াআছে, সেগুলো পুরণ করতে হয় তবে কি কি তথ্য বা করণীয় তা তিনি জানাতে পারেননি।অন্যদিকে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি বলছেন আবাসিকএলাকায় ফার্ম সম্পর্কে লিখিত অবিযোগ এসেছে। তদন্ত ও শুনানী করে যদি জানা যায়এলাকাবাসী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তবে বানিজ্যিক ফার্মটি অন্যত্র সরিয়ে নেবারআহব্বান জানানো হবে না সরালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments are closed.