July 26, 2024, 11:26 pm
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সে গত ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ বাড়লেও সরকারি এই হাসপাতালে করোনা শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না।
এ সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অজয় কুমার সাহা বলেন, নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠাতে যে খরচ, তা রোগীরা দিতে রাজি হন না। আবার সরকারিভাবে আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। বাধ্য হয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিশেষ সময়ে নমুনা পাঠানো হয়।
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ বন্ধ। সেখানে কোনো স্বাস্থ্যকর্মী নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। এরপর শীতকালে করোনার প্রকোপ কমে গেলে নমুনা সংগ্রহ কমে যায়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে নমুনা সংগ্রহ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা হচ্ছে না। হাসপাতালে টিকিট সংগ্রহসহ চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশের সময় কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান ব্যবহার করছে না। হাসপাতাল চত্বরে নির্মিত ‘হাত ধোয়া’ কর্নারগুলো অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে।
উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবার এটিই বড় হাসপাতাল। এখানে করোনার নমুনা সংগ্রহ না করায় লোকজনকে ৭০-৮০ কিলোমিটার দূরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। তবে এত দূরে গিয়ে এই উপজেলার বাসিন্দাদের কেউ তেমন নমুনা পরীক্ষা করছেন না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার নমুনা সংগ্রহসহ সংশ্লি¬ষ্ট বিভাগে কাজের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তাঁরা অন্য বিভাগে আগের মতো কাজ করছেন।
করোনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক হলেন বিপ¬ব কুমার দে। তিনি বলেন, করোনার নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। করোনায় আক্রান্ত, সুস্থ এমনকি মৃত্যুর বিষয়ে সাম্প্রতিক কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। মূলত নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে গত কয়েক মাস করোনাসংক্রান্ত নতুন কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।
বিপ্ল¬ব কুমার দে আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সে আইসিইউ নেই। এছাড়া এখানে একজন রোগীকে দু-তিন ঘণ্টার বেশি অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ারও ব্যবস্থা নেই।
Comments are closed.