October 31, 2024, 3:12 am
‘আবরারকে অনিক সরকার, সকাল, মোজাহিদ ও মনির ভাইসহ ১৫ ও ১৬ ব্যাচের ভাইরা বেশি মারছে। আবরার পানি খাইতে চাইলে পানি দেওয়া হয় নাই। আমরা ভাইদের বলেছিলাম হাসপাতালে নিয়ে যাইতে, ভাইরা নিতে দেয় নাই।’বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি এএসএম নাজমুস সাদাত বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলে।সে আরও বলে, ‘মনির ভাই আমাদের বলে, আবরারকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে আসতে। তখন আমরা নিচে গিয়ে ডেকে নিয়ে আসি। আমি রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুমে চলে আসি।’
এদিন দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে নাজমুস সাদাতকে আদালতে হাজির করেন। বিচারক মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার কাঠলাবাজার এলাকা থেকে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এই শিক্ষার্থী জয়পুরহাটের কালাই থানার কালাই উত্তরপাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে।গত ৬ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরদিন চকবাজার থানায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৯ আসামিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
Comments are closed.