January 15, 2025, 7:56 am
আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রাইভেট কার পেট্রোল পাম্পের ভেজাল তেলের কবলে পড়ে ঠেলাগাড়িতে (ট্রলি দ্বারা টানা) রুপ নেওয়ায় চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (১৮ জুলাই) বুধহাটা পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল নেওয়ার পর গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে অন্য গাড়ি দ্বারা টেনে নিয়ে যেতে হয় সাতক্ষীরা শহরে। আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স ও ইউএইচএ ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুল হক এর প্রাইভেট কার (জিপ) এর ফুয়েল অধিকাংশ সময় বুধহাটা বাজারে অবস্থিত মেসার্স রহমান ফিলিং স্টেশন থেকে নেওয়া হয়ে থাকে। এ্যাম্বুলেন্সে প্রতিমাসে এখান থেকে ৪০০ থেকে ৬০০ লিটার এবং প্রাইভেটে ১৫০ থেকে ২৫০ লিটার পেট্রোল নেওয়া হয়ে থাকে। সোমবার প্রাইভেটটিতে পাম্প থেকে ২৩.১৬ লিটার (২০০০ টাকার) পেট্রোল নেওয়া হয়। তেল নেওয়ার পর গাড়ি অনুমান মিনিট দুই মত চালানোর পর বন্ধ হয়ে যায়। আর স্টার্ট না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ট্রলির সাথে প্রাইভেটটি দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে সাতক্ষীরা শহরে সার্ভিসিং সেন্টারে নেয়া হয়। সেখানে মিস্ত্রী গাড়ি খুলে পেট্রোল নামিয়ে দেখেন পেট্রোলের সাথে অনুমান ৪০-৪৫% পানি মেশানো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুল হক জানান, পাম্প থেকে পেট্রোল নেওয়ার পর সামান্য পথ যেতে না যেতেই স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়।
আর স্টার্ট না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে ট্রলির সাথে প্রাইিভেট দড়ি দিয়ে বেধে টেনে শহরে নেওয়া হয়। সেখানে পেট্রোল বের করে দেখা যায় পানি মিশ্রিত। আমার মত কোন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার প্রার্থনা করছি। তিনি আরও বলেন, এব্যাপারে ফোনে পেট্রোল পাম্পে কথা বলেছি, প্রথমে মানতে রাজি হচ্ছিলনা, পরে খরচ দিতে ও পেট্রোল পাল্টে দিতে চায়। আমরা যায়নি। কিন্তু তারা ভুল ক্রটি সংশোধনের ব্যপারে কোন কথা বলেনি। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাম্পে গেলে ম্যানেজার মোহাম্মদ আলি বলেন, বিষয়টি তারা জেনেছেন এবং বাইরে থাকা পাম্প মালিককে জানানো হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এখন বেশি কিছু বলতে পারবো না। তবে তারা পাম্প থেকে পেট্রোল বোতলে দিয়ে প্রাথমিক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, সেখানে কোন পানি ও কিছু মিশ্রিত আছে বলে দেখা যাচ্ছেনা। বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
Comments are closed.