মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে আসে, আমায় কেন দাঁড়িয়ে রাখো একা দ্বারের পাশে, তুমি যদি না দেখা দাও করো আমায় হেলা, কেমন করে কাটে বলো এমন বাদল বেলা। বৃষ্টিমুখর দিনে কবির বিরহ কাতর মন এভাবেই বর্ষা বন্দনা করেছে।শেষ আষাঢ়ের কদম ফোটা সন্ধ্যায় ক্ষণিকের জন্য অঝরে ঝরেছিল বৃষ্টি। জেলার মানুষ অনাবৃষ্টির আকাশের দিকে বৃষ্টির জন্য তাকিয়ে ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে ঘন মেঘ ঘুরেফিরে ঝরিয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। প্রকৃতির মাঝে এ বৃষ্টি যেন বুলিয়েছে শীতল পরশ।গ্রীষ্মে প্রকৃতির কষ্টের কান্না হয়ে এবার আষাঢ়ে জেলায় ঝরেনি কাক্সিক্ষত বৃষ্টি। বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা আমন বীজতলা তৈরি করতে পারেন নি। বৃষ্টির অভাবে খা-খা করছিল মাঠ। খাল-বিল শুকিয়ে গিয়েছিল। ভরা মৌসুমেও শোনা যায়নি ব্যাঙের ডাক। শনিবারের এক পশলা বৃষ্টি নাগরিক জীবনে যেমন এনে দিয়েছিল স্বস্তি, তেমনি কৃষকের মনে এনে দিয়েছিল প্রশান্তি। প্রকৃতিকে করেছিল শান্ত। বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত আর বিজলীর চমকানিতে নিরাপদ স্থানে থেকে বৃষ্টি কামনা করেছেন অনেকেই। রিমঝিম বৃষ্টিতে প্রকৃতির মাঝে জেগে ওঠে প্রাণ।