আন্তর্জাতিক: শুক্রবার সংস্থাটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খবর টিআরটি ও আল আরাবিয়ার।আইএইএর মুখপাত্র জানান, আগামী ১০ জুলাই বুধবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে বৈঠকটি ডাকা হয়েছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।ভিয়েনার মার্কিন মিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জ্যাকি উলকট ইরান বিষয়ে আইএইএর সর্বশেষ প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করতে বিশেষ বৈঠকের আবেদন করেন।প্রতিবেদনে আইএইএ নিশ্চিত করেছে যে ২০১৫ সালের জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্লান অ্যাকশনের আওতায় ইরানকে সর্বোচ্চ ৩শ’ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম মজুদ করার যে সুযোগ দেয়া হয় তারা সেটি ভঙ্গ করেছে।মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করতে ট্রাম্প প্রশাসন সর্বোচ্ছ ব্যবস্থা নেবে।গত সপ্তাহে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সই করা পরমাণু সমঝাতা অনুযায়ী ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা অতিক্রম করেছে ইরান।গত সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ইরান নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির মাত্রা হ্রাসে মজুদের পরিমাণ যে সীমার মধ্যে রাখতে রাজি হয়েছিল তা অতিক্রম করেছে।প্রসঙ্গত, পরমাণু কর্মসূচি হ্রাস করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে- এই শর্তে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ইরান ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) নামের চুক্তিতে সই করে ইরান।শুরু থেকেই চুক্তির প্রতিটি শর্তই মেনে আসছে তেহরান। এর পরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ওই সমঝোতা থেকে বেআইনি ও একতরফাভাবে আমেরিকাকে বের করে নেন। সেই সঙ্গে ২০১৫ সালে তুলে নেয়া সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা অনুযায়ী ইরান ৩০০ কেজি পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করতে পারত। তবে ওই সমঝোতার ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, অপর পক্ষ এ সমঝোতা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তেহরান এটির কোনো কোনো ধারার বাস্তবায়ন স্থগিত রাখতে পারবে। সে অনুযায়ী ইরান এ পদক্ষেপ নিয়েছে।