January 23, 2025, 3:01 pm
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের চেয়ে তিন গুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। শনিবার (২২ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, সেই সঙ্গে মৃত্যু শূন্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টাও থাকছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির নীতিনির্ধারণ কমিটির সভার বৈঠক হয়েছে।
পরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকায় শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে হবে। যে করেই হোক সবাইকে শেল্টারে আনতে হবে, একজনকেও রেখে আসা যাবে না। এবার আমরা টার্গেট রাখব-মৃত্যুহার যেন জিরো হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় ইয়াস পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছিল। আম্পানের সময়ে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়। করোনার কারণে তিন গুণ আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার করা হবে। সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে।
আশ্রয়কেন্দ্রে করোনা সংক্রমণ রোধে সতর্ক থাকার জন্যে মাঠ পযায়ে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ রোগী থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মাঝে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণের সৃষ্টি না হয়।
সভার শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ লঘুচাপটির সবশেষ অবস্থা বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, এটি এখনও হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তাই সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। নিম্নচাপ হওয়ার পর ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে এলে সঙ্কেত বাড়ানো হবে।
Comments are closed.