December 6, 2023, 5:11 pm
বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা নিয়ে আবারও নানা আলোচনার মুখে এই মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি কওমি মাদ্রাসার নিজেদের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু দেশের বেশকিছু ইসলামপন্থী দল বা সংগঠন কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটে মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের গুরুত্ব কতটা এবং তা কার্যকর করা সম্ভব কি-না -এসব প্রশ্নে নানা আলোচনা চলছে। মাদ্রাসা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ১৪ হাজারের মতো কওমি মাদ্রাসায় ১৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক ফাতেহা ফারজানা। তার মাদ্রাসায় প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত সাতশ জনের মতো ছাত্রী রয়েছে। কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে তার অবস্থান।
ফাতেহা ফারজানা বলেছেন, শিক্ষকদের কেউ কোন দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে মাদ্রাসায় তার প্রভাব যেন না পড়ে, সেটা তিনি চান। “ইসলাম রাজনীতি সমর্থন করে। তবে আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকা যারা মাদ্রাসায় আছি, তারা এই ছাত্র বা ছাত্রীরা রাজনীতি করবে, সেটা অপছ্ন্দ করি। শিক্ষক যারা আছে, তারা ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করবে। মাদ্রাসায় ছাত্র শিক্ষকের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হলে তা কার্যকর করা উচিৎ” বলে মন্তব্য করেন মাদ্রাসা শিক্ষক ফাতেহা ফারজানা।
দাওরায়ে হাদিসের ছাত্র সাইফুল হক বলেছেন, তিনি মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির বিরুদ্ধে। তবে তিনি মনে করেন, কখনও ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগ উঠলে তার প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে বাধা থাকা উচিৎ নয়। “যারা আদর্শ ওস্তাদ (শিক্ষক), তারা মাদ্রাসার বাইরে গিয়ে রাজনীতি করতে পারে। কিন্তু ছাত্র যারা আছে, তাদের রাজনীতি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকা উচিৎ মনে করি আমরা।” মাদ্রাসা ছাত্র সাইফুল হক আরও বলেছেন, “যখন নাস্তিক মুরতাদরা ইসলামকে নিয়ে কটুক্তি করে, ঐ প্রতিবাদে আমরা যাই। আর কোনো মাদ্রাসায় বাধ্যবাধকতা নেই যে ছাত্রদের রাজনীতি করতে হবে।”
Comments are closed.