January 23, 2025, 4:06 pm
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। এ সময় ফুসফুসের যত্ন নেয়া সবচেয়ে জরুরি। শ্বাসনালি দিয়ে এই ভাইরাস ফুসফুসে প্রবেশ করে কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। যার ফলে দেখা দেয় মারাত্মক যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ক্লান্তিবোধ।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক গবেষনায় দেখা যায়, অনেক সময় করোনা নির্মূল হলেও ফুসফুসে প্রদাহ কিংবা রক্তজালকে ফাটল তৈরি হয়। তবে এই ক্ষতিগস্তের তালিকায় ফুসফুস ছাড়া আর আছে কিডনি ও হৃদপিন্ডের মতো অঙ্গে।
এ মহামারীর সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন `সি` খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।এটি ফুসফুস ক্যান্সার থেকে যেমন দূরে রাখে, তেমনি ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এছারাও ফুসফুস ভালো রাখে ভিটামিন ‘ডি’সমৃদ্ধ খাবার, বাদাম, আখরোট, পেস্তা, কাজু, চিনাবাদাম, সূর্যমুখি, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, খনিজ লবণ, হলুদ, তুলসী পাতা, কালিজিরা, রসুন, ওটমিল-রুটি, তৈলাক্ত মাছ, গ্রিন টি, মধু, আদা, দারচিনিও পরিমিত পানি।
সুস্থ থাকতে ঘুমের বিকল্প নেই। সময়মতো ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। ভোরবেলায় বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে। প্রতিদিন এ সময় ধৈর্য ধরে হাঁটলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম,ধ্যান, ইয়োগা, প্লাংক, সাইড প্লাংক ও পুশ আপেরমতো বিভিন্ন ব্যায়ামেও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে।তবে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা কিংবা কাশি থাকলে ব্যায়াম করবেন না।
ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে হয়ে যাচ্ছে নিউমোনিয়া। ফুসফুসকে সুস্থ রাখাতে ধূমপান ও তামাক এড়িয়ে যেতে হবে। এ বদভ্যাসের ফলে হৃদরোগ, ক্যান্সার, ফুসফুসের রোগ ও উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকসহ নানা ধরণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।
সেই সাথে রাসায়নিক বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ, সিগারেটের ধোঁয়া, অ্যাসবেস্টস, রেডন, আর্সেনিক, বিকিরণ,বায়ুদূষণের মতোবিষয়গুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে মাস্ক পরে বেরোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিতে পারেন। অ্যালকোহলকেও না বলুন।
Comments are closed.