October 31, 2024, 3:12 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: 1linenewsagency@gmail.com
কলারোয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্মুক্তস্থানে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়

কলারোয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্মুক্তস্থানে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় যেখানে সেখানে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তুপে নাজেহাল পৌরবাসী। রাস্তার ধারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটের পাশে, বসতবাড়ির সামনে-পাশে ও উন্মুক্ত বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে (জনতাপূর্ণ স্থান) ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা এবং সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নিত্যদিনের দুর্গন্ধ আর অস্বাস্থ্যকর এ পরিবেশের কারণ হিসেবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকেই দুষছেন ভূক্তভোগিরা।জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে ময়লার ডাস্টবিন না রাখা কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় ছোট্ট ভাঙ্গাচুড়া ডাস্টবিন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে কলারোয়া পৌরসভার বিরুদ্ধে।সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে কলারোয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান গেটের সাথেই স্কুলের পাচিল ঘেষে ও পুরাতন খাদ্যগুদামের সামনে রাস্তার অর্ধেকজুড়ে উন্মুক্ত স্থানে বসানো হয়েছে পৌরসভা দক্ষিণ এর ময়লা ফেলার ট্রানজিট ক্যাম্প। উত্তরের ট্রানজিট ক্যাম্প বসানো হয়েছে কলারোয়া উপজেলা ভবন সংলগ্ন মেইন রাস্তার পাশে ও পোস্ট অফিসের সামনেই।সারা দিনরাত কাঁচা বাজার, হোটেল রেস্তারার পাশে ফেলা বিভিন্ন বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা ভোররাতেই এনে জমা করা হয় এসকল পয়েন্টে। আর এখান থেকেই পৌরসভার ইচ্ছামাফিক সুবিধানুযায়ী সময়ে গাড়িতে করে আবর্জনা অন্যত্র পাঠানো হয়।
এছাড়া, পুরাতন খাদ্যগুদামের সামনে রাস্তার প্রায় অর্ধেকজুড়ে, প্রেসক্লাবের বিপরীতে মেইন রাস্তার পাশে, সরকারি কলেজের পাশে ও বাজারের বিভিন্ন জনসম্মুখ স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপকরে ফেলে রাখতে দেখা গেছে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মী, ঝাড়ুদারদের পাশাপাশি পৌরসভার বাসিন্দা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখলেও সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে চরম গাফিলতি করা হয়। অন্যত্র সরিয়ে না নেয়া ও নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে স্তুপাকৃত ময়লা-আবর্জনা থেকে অসহনীয় দূর্গন্ধে নাভিশ্বাস ফেলে বাসিন্দা ও পথচারীরা।
দেখে মনে হয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যেনো পরিকল্পিতভাবে পৌরশহরের বিভিন্ন স্থান ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। স্তুপাকৃত ময়লা-আবর্জনা প্রতিনিয়ত পরিষ্কার না করে পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্বহীনতার পরিচয়-ই দিচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছে, ২/৪দিন পরপর এই ময়লা অন্যত্র সরানো হলেও দূর্গন্ধ সারাদিনই থাকে। ফলে টিফিনের খাবার খেতে কেমন যেন অস্বস্তি লাগে।
পথচারীরা বলছেন- রাস্তা দিয়ে যেতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।
ভূক্তভোগি বাসিন্দারা জানান-ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা স্থানগুলোয় পৌরসভার জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলরা কিছুক্ষণ অবস্থান করলে বুঝতে পারবেন পৌরবাসীর জীবনমান ও উন্নয়ন কত নিচু পর্যায়ে পৌছেছে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়ে তারা আরো বলেন- পথচারী, সাধারণ জনগণের কথা না ভাবলেও কোমলমতি ছোট শিশু, ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার জন্য এলাকার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন।
এ বিষয়ে সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব জানান, ‘এখানে ময়লা ফেলার কারণে সার্বিক পরিবেশ তো নষ্ট হচ্ছেই, এরচেয়ে বেশী সমস্যা হচ্ছে ময়লা ফেলার গাড়ি এখানে পার্কিং করে রাখার কারণে।’
পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোন ইন্ধন নেই। আমি হাজারবার স্কুলের পাশে, উপজেলা সংলগ্ন স্থানসহ অন্যান্য স্থানে ময়লা ফেলতে নিষেধ করেছি, তারপরেও ময়লা ফেলছে। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।’


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com