নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৯ এর সদর উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সদর উপজেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, ‘এ খেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। আজকের এই ক্ষুদে খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসবে আগামী দিনের সাফল্য।’বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন প্রমুখ। এ খেলায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট সদর উপজেলার ২০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশ নেয়। ফাইনাল খেলায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয় গোবরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম মহাদেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। খেলায় মহাদেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলে পরাজিত করে গোবরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয় শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম মাছখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। খেলায় শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালকে টাইবেকারে ২-১ গোলে পরাজিত করে মাছখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সোহেলী ফেরদৌস, ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান, সাতক্ষীরা পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভদ্র কান্ত সরকার, ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু, দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আবু তালেব মোল্যা, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ। খেলার রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন আসাদুর রহমান আসাদ, রেফারীর সহকারির দায়িত্ব পালন করেন প্রধান শিক্ষক আবুল আলাম ফরহাদ ও হাসনাত জামান। এসময় সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।