October 9, 2024, 4:44 am
কামরাঙ্গীরচরের ৮ নম্বর গলিতে বেড়ে ওঠা ঢাকাইয়া গাল্লি বয় রানা। তাকে নিয়ে প্রথম গান ‘গাল্লি বয়’ প্রকাশ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহমুদ হাসান তবীব। এবার এই জুটিই নিয়ে এসেছে তাদের দ্বিতীয় গান ‘গাল্লি বয় পার্ট-২’।এদিকে, গানটির ভিডিও প্রকাশের পর থেকেই হুমড়ি খেয়ে দর্শকরা গানটি দেখছেন। মাত্র একদিনেই এটির ভিউ ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।এবারো গানটির কথা ও সুর করেছেন মাহমুদ হাসান তবীব। ভিডিও নির্মাণেও তিনিউ ছিলেন। মাহমুদ তবীব নামের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি অবমুক্ত করা হয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরে বেড়ানো আর দশটা পথশিশুর মতো রানাও একজন। থাকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায়। তবে ক্যাম্পাস এলাকাতেই সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ে দারুণ র্যাপ গান গায়ে ২-৫ টাকা চেয়ে নেয় মানুষের কাছ থেকে। এটাই ছিল রানার পরিচিতি।কথায় কথায় চলতি বছরের গেল মে-জুন মাসের কোনো একদিন রানার সঙ্গে পরিচয় হয় ঢাবি শিক্ষার্থী তবীবের। অন্যদিকে মাত্রই বলিউডে মুক্তি পেয়েছে রণবীর সিংয়ের ‘গাল্লি বয়’ চলচ্চিত্র। তবীব যেন বাস্তবেই পেয়ে গেলেন সেলুলয়েডের রণবীর সিংকে।ব্যস, রানাকে নিয়ে কাজে নেমে পড়েন। আর এরপরের গল্পটা সবারই জানা।চার ভাইবোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রানা। তার জীবন এখনো বাস্তবের বেড়াজালে যেন আটকিয়ে আছে। রানার মা সিতারা বেগম বাসা-বাড়িতে রান্না-বান্নার কাজ করেন। রানা এখন অনেকের কাছেই পরিচিত মুখ হওয়ার বদৌলতে তাকে রাস্তায় দেখলে অনেকেই সেলফি তুলতে চায়। ছেলে এমন জনপ্রিয়তায় মা সিতারা বেগম বলেন, যখন তার সঙ্গে কেউ ছবি তুলতে চায় তখন আমার অনেক ভাল লাগে। তবে টাকার অভাবে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না।এদিকে, রানার ইচ্ছে নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সে বলে, নিজের লেখা গানে কণ্ঠ দেয়ার ইচ্ছে আছে তার। এছাড়া স্কুলে যাওয়ারও ইচ্ছে আছে। শুধু তাই নয়, স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে কলেজ ভর্তি হওয়া এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে চায় সে।
Comments are closed.