July 26, 2024, 11:55 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
গ্রাম আদালতকে কার্যকর ও শক্তিশালী করার বিকল্প নেই

গ্রাম আদালতকে কার্যকর ও শক্তিশালী করার বিকল্প নেই

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে গ্রাম আদালতকে কার্যকর ও শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করতে পারলে জেলা পর্যায়ের আদালতসমূহে মামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

রোববার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত গ্রাম আদালতের আইনগত কাঠামো সংস্কার বিষয়ক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলে অনেক ছোট ছোট এবং খুব সামান্য বিষয় নিয়ে মানুষ নানারকম বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয়ভাবে এসব বিবাদ মীমাংসা করতে না পারায় তারা কোর্টে চলে যান। এতে একদিকে যেমন আদালতে মামলার জট তৈরি হয়, অন্যদিকে ভুক্তভোগীদের সময় ও অর্থের অপচয় হওয়ার পাশাপাশি তাদের রায় পেতে অনেক দেরি হয়। এছাড়া এক ধরনের অসাধু ব্যক্তি বিবাদ মীমাংসা করে দেয়ার নামে উভয় পক্ষের কাছ থেকে টাকা পয়সা আদায় করেন।

গ্রামীণ মানুষের মধ্যে দ্রুত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে বর্তমানে গ্রাম আদালতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গ্রাম আদালত পরিচালন প্রক্রিয়া সহজতর করতে এর আইনকে আরো যুগোপযোগী করতে হবে। আজকের এই অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে গ্রাম আদালতের আইনি কাঠামো সংশোধনের যেসব প্রস্তাবনা আসবে সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে আইন তৈরি করলে গ্রাম পর্যায়ে স্থানীয় বিচার ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী হবে।

সারাবিশ্বে সময়, পরিস্থিতি ও মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে আইনের পরিবর্তন করা হয়। গ্রাম আদালত আইনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন যুগোপযোগী করার জন্য সরকার কাজ করছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি এর সকল টার্গেট পূরণ করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শহর এবং গ্রামের মানুষের মধ্যে বৈষম্য নিরসনে সরকার কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান অতিথি এ সময় গ্রাম আদালত সক্রিয় করার কার্যক্রম পরিচালনায় এক দশক জুড়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সরকারের পাশে থাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের প্রয়োজনের উপর গুরুত্ব প্রদান করে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেন গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মরন কুমার চক্রবর্তী, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, প্রকল্প এলাকা হতে আগত জেলা প্রশাসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com