October 6, 2024, 10:53 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কেরামতি: হাকিম চলে গেল মুনজিতপুর থেকে সুলতানপুরে!

চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কেরামতি: হাকিম চলে গেল মুনজিতপুর থেকে সুলতানপুরে!

আবু হাসানঃ

ওরা কেউ ম্যাজিস্ট্রেট। কেউ আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা। আবার কেউ সাংবাদিক। ওদের পিছনে আছে বাপ সাংবাদিক, আছে মুরুব্বি সাংবাদিকও। একজন কথিত প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় ওরা প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। ওই নেতার পিছনেও দেখা যায় বিভিন্ন সময়। সারাদিনের উপার্জনের টাকা থানার সামনের লিচুতলায় ভাগবাটোয়ারা করে। ২/৩দিন আগে থানার সামনের লিচুতলার চায়ের দোকানে দিনের রোজগারের টাকা ভাগবাটোয়ারার সময় কেউ একজন পুলিশের বর্তমান কঠোর অবস্থানের কথা বলছিলেন, তখন হাকিম নামের ওদের দলের এক পান্ডা চেচিয়ে উঠে বললো ‘পুলিশ সারাদিন যা আয় করে তার ভাগও আমাদের দেয়। পুলিশ আমাদের ধরবে মানে !’…ইত্যাদি ইত্যাদি।
যদিও পুলিশে যে ওদের অনেক ক্ষমতা সেটা মামলার এজাহার পেয়েই বোঝা গেল। মঙ্গলবার ইটাগাছায় বেকারী থেকে আটক মামুন ও মাজহারুলের গুরু হাকিমের বাড়ি শহরের মুনজিতপুরে। সে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। লিচুতলায়ও প্রতিদিন এদের সাথে দেখা যায় মুনজিতপুরের হাকিমের। কিন্তু মামলার এজাহারে তার বাড়ির ঠিকানা লেখা হয়েছে সুলতানপুর। পিতা অজ্ঞাত। যদিও মামলার এজাহার দায়েরের সময় এই বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের থানাতেই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। তাদের সেই ব্যস্ততা আর যাই হোক না কেন, হাকিমকে মুনজিতপুর থেকে সুলতানপুরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, মামলার এজাহারে রাখা হয়ে অনেক ফাঁক ফোকড়। বিশেষ করে আসামীদের নাম পরিচয়, ঘটনার তারিখ ও সময় নিয়ে রয়েছে অসঙ্গতি।এব্যাপারে মামলার বাদী ইটাগাছার শাহিনুর বেকারীর মালিক আব্দুল খালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি পালিয়ে যাওয়া দুইজনের ঠিকানা জানি না। দুপুরে থানার সেকেন্ড অফিসার মামলার এজাহারে আমার সই করে নেয়। বিকালে আবার ওই এজাহার পাল্টে কিছু ভুল ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে বলে নতুন আর একটি এজাহারে সই করে নেয়।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com