February 5, 2025, 12:57 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: 1linenewsagency@gmail.com
চার কোটি টাক ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে বিকাশ বন্ধের দাবি রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের

চার কোটি টাক ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে বিকাশ বন্ধের দাবি রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের

সাতক্ষীরার বিকাশ ব্যবসায়ীদের চার কোটি টাক ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত বিকাশ বন্ধের দাবি বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন সাতক্ষীরার বিকাশ ব্যবসায়ীদের চার কোটি টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভণর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি এই মূহুর্তে সমগ্র বাংলাদেশে বিকাশ বন্ধ করে দেওয়া হোক। বিকাশ ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধান হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নিবেন তাতে ব্যবসায়ীদের সমর্থন থাকবে। এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে আর না ঘটে তার পদক্ষেপ নেওয়ার ও দাবি জানান। বুলু আরো বলেন -পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম, এক হাজার এজেন্টের চার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছেন ‘বিকাশ’ এর সাতক্ষীরা জেলা ডিস্ট্রিবিউটর ফারুক হোসেন।
এ ঘটনার পর এজেন্টদের মাথায় হাত উঠেছে। তারা এখন হায় হায় করছেন। সোমবার সকাল থেকে জেলার এজেন্টরা তার খোঁজ পাচ্ছেন না। তার সব ফোন বন্ধ। তার অফিসে তালা, বাড়িতেও ঝুলছে তালা। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে বিকাশ এজেন্টরা অভিযোগ করেন, অনেকদিন ধরে আমরা আমাদের চাহিদা মতো টাকা পাই না। তারা বলেন, আমাদের জমা থেকে তিন লাখ টাকা চাইলে দেয়া হয় এক লাখ। এভাবে বেশ কিছুদিন যাবত তাদের ব্যবসাও বাধার মুখে পড়তে থাকে। তারা জানান, এ নিয়ে প্রায়ই তাদের সঙ্গে ঝগড়া হয়ে আসছে। এজেন্টদের অভিযোগ, বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর আমাদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে হুন্ডির কাজে ব্যবহার করছেন। লাভজনক কোনো গোপন ব্যবসার সঙ্গেও জড়িয়ে গেছেন তারা। অভিযোগ করে এজেন্টরা বলেন, বিকাশ কর্মকর্তারা তাদের টাকা হাতে পেলেও ছাড়ছেন খুব কম টাকা। এতে আমাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। সোমবার সকাল থেকে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর ফারুক হোসেন ও তার অফিসের লোকজন অফিস থেকে উধাও। তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বলেন, বিভাগীয় শহর খুলনায় অবস্থানরত জোনাল অফিসের লোকজনও এজেন্টদের ফোন ধরছেন না। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসে গিয়ে তিনজনকে খুঁজে পান। এরা হলেন ইব্রাহীম, বিশ্বজিত ও মো. মাসুমবিল্লাহ। এসআই তরিকুল জানান, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপরদিকে এজেন্টরা এ ব্যাপারে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে বিকাশের জোনাল অফিস খুলনায় ফোন করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগকারী এজেন্টদের মধ্যে রয়েছেন আদর এন্টারপ্রাইজ, সোহেল এন্টারপ্রাইজ, বুলবুল টেলিকম, মোবাইল প্যালেস, আহানাজ ফটো, কেসিও ওয়াচ, জয়া এন্টারপ্রাইজ, খোকন বুক ডিপো, রমজান টেলিকম, রাজু টেলিকম, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, জননী স্টোর, একে ইলেকট্রনিক্স, তোহা মোবাইল, আরজু এন্টারপ্রাইজ, সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ, সুমাইয়া টেলিকম, মামুন এন্টারপ্রাইজ, রেজা এন্টারপ্রাইজ, তানভির স্টোর ও স্বপন এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধিরা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com