December 26, 2024, 11:23 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: 1linenewsagency@gmail.com
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ উৎসর্গ-বৃক্ষরোপণ

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ উৎসর্গ-বৃক্ষরোপণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের বাগানে একটি ‘হানি লোকাস্ট’ গাছ রোপণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে তার বাণী সমল্বিত একটি বেঞ্চ উন্মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের উত্তর লনে এ বৃক্ষরোপণ এবং বেঞ্চ উন্মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘হানি লোকাস্ট’ দ্রুত বর্ধণশীল ফুলের গাছ। প্রায় সকল ‘হানি লোকাস্ট’ গাছই ১০০ থেকে ১২০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। হানি লোকাস্ট গাছের কাঠকে সবচেয়ে শক্তিশালী পত্রঝরা গাছের কাঠের চেয়েও শক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বৃক্ষরোপণের পর বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা একটা বিশেষ দিন। কারণ আমাদের যুদ্ধ বিজয়ের পর ১৭ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি (বঙ্গবন্ধু) ভাষণ দেন। সেই ভাষণটা তিনি দিয়েছিলেন বাংলা ভাষায়। এই সেপ্টেম্বর মাসে এত চমৎকার একটা জায়গায় চেয়ার উৎসর্গ করা হলো এবং একটা বৃক্ষরোপণ করা হলো। শতবর্ষের ওপর এই বৃক্ষটা টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা চেয়ার উৎসর্গ করা হলো, একটা বৃক্ষরোপণ করা হলো। বৃক্ষ এটা পরিবেশও রক্ষা করে, মানুষকে ছায়া দেয়, মানুষের জীবনকে রক্ষা করে। আর চেয়ারটার এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়, মানুষ এখানে শান্তিতে বসবে, কিছুক্ষণ আরাম করবে, চিন্তা করবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের এ জায়গা বসে থাকলে শুধু নিজের চিন্তা না, বিশ্বের মানুষের কথা চিন্তা করবে। সবচেয়ে বড় কথা জাতির পিতা সব সময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, সংগ্রাম করেছেন দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। বাংলাদেশের মানুষের দুঃখের কথাও যেমন ভেবেছেন, সারা বিশ্বের যারা ক্ষুধা দারিদ্রে জর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ তাদের কথাও তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলেছেন।

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তার যে লক্ষ্য ছিল সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। ওনার জীবনের লক্ষ্য ছিল সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করে চলা। কারণ তাতে শান্তি আসবে এবং শান্তির সন্ধানেই তিনি সব সময় ছিলেন, শান্তির জন্যই সংগ্রাম করেছেন। শান্তি ছাড়া কখনো কোন দেশের উন্নতি হয় না। এটা আমরা নিজেরা খুব ভালো বুঝি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সব সময় উন্নতি হয়।

বঙ্গবন্ধুর নামে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বৃক্ষরোপন এবং বেঞ্চ উৎসর্গ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্বের সকল শহীদ শান্তিরক্ষীগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নিউইর্য়ক আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com